রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করার উপায়

23

উচ্চ কোলেস্টেরল হৃৎপিন্ডের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা। এটি হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের কারণ হতে পারে। খারাপ খাদ্যাভ্যাস ও বসে থাকা জীবনযাপনই এর প্রধান কারণ।
কোলেস্টেরল হলো একটি চটচটে, মোমের মতো পদার্থ যা রক্তনালিতে জমা হয় ও সেখানে প্লাক তৈরি করতে পারে।
শরীরে ভালো ও খারাপ দুই ধরনেরই কোলেস্টেরল থাকে। শরীরের সুস্থতার জন্য যেমন ভালো কোলেস্টেরল প্রয়োজন, তেমনই খারাপ কোলেস্টেরল স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক ও মারাত্মক হতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত উপায়ে কোলেস্টেরল বৃদ্ধিকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় এথেরোস্ক্লেরোসিস। যা হৃদরোগ, স্নায়ুর সমস্যা, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়ায়।
কীভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন? : অনেকে কোলেস্টেরল কমাতে স্ট্যাটিন বা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই ওষুধ খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। তাই এই ওষুধগুলো এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ও ব্যায়াম করা জরুরি। কোলেস্টেরল কমানোর কিছু ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক প্রতিকার থাকলেও তার মধ্যে একটি সহজলভ্য উপাদান হলো আমলা। চলুন জেনে নেওয়া যাক আমলা কীভাবে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে পারে। আমলার পুষ্টিগুণ ও গুণাবলী : আমলার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো এতে উপস্থিত ভিটামিন সি। এছাড়া এই টক ফল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও খনিজের ভাÐার। ধারণা করা হয়, ১০০ গ্রাম আমলায় ২০টি কমলালেবুর মতো ভিটামিন সি থাকে।
এটি আয়ুর্বেদে হাজার বছর ধরে বিভিন্ন সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে চিনির পরিমাণ খুবই কম ও ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, আয়রন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ।
আমলকি কোলেস্টেরল কমায় : বিএমসি’তে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, একদল রোগীকে ১২ সপ্তাহের জন্য দিনে দু’বার ৫০০ মিলিগ্রাম আমলকির রস ও কিছু ক্যাপসুল দেওয়া হয়েছিল।
কোলেস্টেরল কমাতে আমলকির রস কীভাবে খাবেন? :
গবেষকরা রোগীদের প্রতিদিন প্রায় এক কাপ আমলকির রস পান করতে দেন। তবে আমলকি কাঁচাও খেতে পারেন। আমলকির রস খুব টক, তাই এর স্বাদ বাড়াতে আপনি এর সঙ্গে কিছু মধু ও কালো লবণ মেশাতে পারেন। আমলকির অন্যান্য উপকারিতা : কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি আমলকি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, হজমশক্তির উন্নতি, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালীকরণ, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতেও সাহায্য করে।-সূত্র: প্রেসওয়্যার ১৮