গর্ভবতী মায়ের করণীয়

7

অধ্যাপক ডা. ফিরোজ আমিন

রোজার সময় গর্ভবতী মায়েদের বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। রমজান মাসে রোজা রাখা মুসলমানদের জন্য ফরজ। তবে অসুস্থ বা সফররত অবস্থায় রোজা না-রাখার ব্যাপারেও বলা আছে। ছুটে যাওয়া রোজাগুলো পরে রাখার বিধান রয়েছে। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রেও এমন একটা নির্দেশনা আছে। রোজার সময় গর্ভবতী নারী না-খেয়ে থাকার কারণে পেটের সন্তান বা মায়ের ক্ষতি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে গর্ভবতী নারীরা রমজানে রোজা না-রেখে পরে রেখে নিতে পারবেন।
ডায়াবেটিস আছে, এমন নারীদের সকালে খাওয়ার আগে ৬-৭, সকালে খাওয়ার পর ৭, ৮ ও ৯, দুপুরে খাওয়ার আগে ৬-৭, দুপুরের খাওয়ার পর ৭, ৮ ও ৯, রাতে খাওয়ার আগে ৬-৭, রাতে খাওয়ার পরে ৭, ৮ ও ৯ মাত্রায় ডায়াবেটিস থাকা সন্তোষজনক। গর্ভকালীন মা ও সন্তান দুজনেরই সুস্থ থাকা জরুরি। তাই এ অবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সকালে খালি পেটে, দুপুরে খাওয়ার আগে ও রাতে খাওয়ার আগে ৪ থেকে ৫-এ রাখতে হবে। একই সঙ্গে সকালে খাওয়ার পর, দুপুরে খাওয়ার পর ও রাতে খাওয়ার পর ৬ থেকে ৭-এ রাখতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় সাড়ে ৬-এর নিচে রাখতে পারলে। গর্ভবতী হওয়ার পর নিয়মিত সুগার চেক করতে হবে।
গর্ভবতী মায়েদের অনেক সময় সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় না। দেখা যায়, ইফতারের পর সুগার বেড়ে গেছে। অনেকের আবার দিনের বেলায় সুগার খানিকটা কমে যায়। সে ক্ষেত্রে গর্ভবতী নারীদের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে কতটুকু খাওয়া উচিত, সে বিষয়ে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে। আর গর্ভবতী নারীদের দিনের বেলা একেবারেই হাঁটা নিষেধ। কেউ চাইলে রাতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ঘরের মধ্যে হাঁটাচলা করতে পারেন। গর্ভবতী নারীরা মুখে খাওয়ার ওষুধ সেবন করলে, তা অনেক সময় অনাগত সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে শুধু ইনসুলিন নিতে হবে। আর রমজানে ইনসুলিন নেওয়ার সময় কিছুটা রদবদল হয়। তাই অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।