বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে আর্জেন্টিনার চেয়ে ব্রাজিল এগিয়ে

22

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা উভয় দেশেই বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বাড়ছে। এক্ষেত্রে অবশ্য আর্জেন্টিনার চেয়ে ব্রাজিল অনেক অনেক এগিয়ে। এবার খুলেই বলা যাক, বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে আর্জেন্টিনার চেয়ে ব্রাজিলে সাড়ে ১১ গুণ বেশি পণ্য রপ্তানি করেছেন। (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে আর্জেন্টিনায় ৯৫ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আর ব্রাজিলে রপ্তানি হয়েছে ১০ কোটি ৯২ লাখ ডলারের পণ্য, যা এর আগের বছরের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিলে যেমন পণ্য রপ্তানি হয়, তেমনি সে দেশ থেকে আর্জেন্টিনার চেয়ে বেশি পণ্য আমদানি হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, যেসব দেশ থেকে বাংলাদেশ পণ্য আমদানি করে, সেগুলোর মধ্যে পরিমাণের দিক থেকে ব্রাজিলের অবস্থান সপ্তম। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্রাজিল থেকে ২৪০ কোটি ডলারের ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার টন পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনায় প্রায় একই ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়- ওষুধ, প্লাস্টিক পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, জুতা, বাচ্চাদের খেলনা, ম্যাট্রেস, চিকিৎসা সরঞ্জাম ইত্যাদি। তবে উভয় দেশে পণ্য রপ্তানির সিংহভাগই তৈরি পোশাক। বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, করোনার আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্রাজিলে ১০ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়। বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের বড় বাজার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও কানাডা। এর বাইরে শীর্ষ ১৫ অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে রয়েছে ব্রাজিল। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস জুলাই-সেপ্টেম্বরে দেশটিতে ২ কোটি ৪০ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা দেশীয় মুদ্রায় ২৪০ কোটি টাকা। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি। বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, ‘এক যুগ আগেও ব্রাজিলে খুব কম পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হতো। রপ্তানি বাড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়ে ২০১০ সালে আমরা বিজিএমইএ থেকে ব্রাজিলে গিয়ে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করি। তার পর থেকে ধীরে ধীরে রপ্তানি বেড়েছে। এখন সেটি আমাদের তৈরি পোশাকের জন্য খুবই সম্ভাবনাময় বাজার।
ব্রাজিলসহ লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের দেশের যেসব কারখানা শীতের পোশাক তৈরি করে, তারা উপকৃত হয়েছে। বর্তমানে কারখানাগুলো সারা বছরই ক্রয়াদেশ পাচ্ছে।’