উখিয়ার নুর হোটেলের মালিক শামীম জেলে

61

উখিয়া প্রতিনিধি

উখিয়ার ঐতিহ্যবাহী নুর হোটেলের স্বত্ত্বাধিকারী নুরুল ইসলাম সওদাগরের ছেলে শামশুদ্দিন শামীমের নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছে অন্যান্য ভাই-বোনেরা। তার একের পর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নুরুল ইসলাম প্রকাশ নুরু সওদাগরের ওয়ারিশরা। প্রতিবাদ করতে গিয়ে সম্প্রতি তার বড় ভাই জসিম উদ্দিন ও স্ত্রী জোসনা আকতারকে মারধরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় অবশেষে বৃহস্পতিবার শামিমকে কারাগারে প্রেরণ করে আদালত।
জানা গেছে, জায়গা-জমি, দোকান-মার্কেটের মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল মৃত নুরুল ইসলাম প্রকাশ নুরু সওদাগর গংদের মধ্যে। এ নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে শামশুদ্দিন শামীম সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মারধর, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে উল্টো মারধর, মামলা-হামলা দিয়ে হয়রাান করে থাকে। এরই ধারবাহিকতায় জায়গা-জমি বিরোধের জের ধরে শামশুদ্দিন শামীমের উপস্থিতিতে তার লেলিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীরা গত বছর তার বড় ভাই জসিম উদ্দিনকে প্রকাশ্যে মারধর করে। পরে খবর পেয়ে জসিমের স্ত্রী জোসনা আকতার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাকেও ব্যাপক মারধর করে গুরুতর আহত করেন শামীমের বাহিনী। মারধরে তার গর্ভে থাকা সন্তান নষ্ট হয়ে যায়।
এ ঘটনায় শামীমের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন জসিমের স্ত্রী জোসনা আকতার। এই মামলায় আদালত বৃহস্পতিবার শামীমকে কারাগারে প্রেরণ করেন বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে।
মামলা বাদী জোসনা আকতারের স্বামী জসিম উদ্দিন বলেন, তার ভাই শামশুদ্দিন শামীম তার অপরাপর ভাই-বোনদের পৈত্রিক সম্পদ জোরপূর্বক জবর-দখল নিয়ে ভোগ করে আসছে। আর আমাদের অত্যাচার নির্যাতন করছে।
কামাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, তার ভাই শামীম বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের সাথে জড়িত। তাবলীগের নাম ব্যবহার করে সে ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তার বিশাল আস্তানা রয়েছে। রোহিঙ্গাদের বিতরণের নামে কোটি কোটি টাকা বিদেশ থেকে এনে আত্মসাৎ করেছে। তার নিজস্ব ব্যাংক হিসাব তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। সে ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গা নারী বিয়ে করেছে। তার আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে এসে তাদেরকে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি, মারধর করে থাকে বলে তিনি জানান।