আইনজীবী-জেলা প্রশাসন বিরোধের ‘পারদ’ চড়া ছিল বছরের অর্ধেক সময়

461

সবুর শুভ

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের মধ্যে বিরোধ গেল ছয়মাস ধরে তুঙ্গে। সম্পর্কের তিক্ততার পারদ কখনো বেশ চড়েছে আবার কখনো খানিকটা নেমেছে। চলতি বছর বিষয়টি বেশ আলোচনার জম্ম দেয় চট্টগ্রামসহ সারাদেশে। সম্পর্কের এ তিক্ততা একেবারে আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এর সর্বশেষ ফল হিসেবে কোর্ট হিলের আদালত ভবনসংলগ্ন ১ দশমিক ৮ একর ভূমিতে নতুন করে কোনো ধরণের স্থাপনা নির্মাণ না করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরিবেশ অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মো. নুরুল্লাহ নুরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিটি গত ১৫ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়। এতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের গত ২৮ ডিসেম্বরের নির্দেশনা অনুযায়ী, চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংয়ের নিরাপত্তা ও সৌন্দর্য রক্ষায় অপরিকল্পিত ও অনুমোদনহীন স্থাপনাসমূহ অপসারণ করতে তিনটি নির্দেশনা রয়েছে। এতে আন্দরকিল্লা মৌজার বিএস ১ নম্বর খাস খতিয়ানের বিএস ৩৫১৭, ৩৫০১ নম্বর দাগের অন্দরে ১.৮০৮৪ একর টিলা শ্রেণির ভূমিতে নতুন করে যেকোনো ধরনের স্থাপনা বা অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়টি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতিকে জানানোর সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়। চিঠিতে তালিকা অনুযায়ী এসব স্থাপনা পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে উচ্ছেদ করা, আইনজীবী সমিতি ইতোমধ্যে নির্মিত ভবনগুলো চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত নকশা যথাযথভাবে অনুসরণ করে নির্মাণ করা হয়েছে কি না তা যাচাই করা এবং আদালত ভবনের সামনে একমাত্র ফাঁকা জায়গাটিতে যাতে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করা না হয়, সে বিষয়টি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতিকে অবহিত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। আদালত ভবনের নিরাপত্তা ও সৌন্দর্য রক্ষার্থে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কোর্ট হিল এলাকায় ভবন নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠিটি আমরা পেয়েছি। নির্দেশনায় আন্দরকিল্লা মৌজার টিলা শ্রেণির ওই ভূমিতে নতুন করে স্থাপনা নির্মাণে নিষেধ করা হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক বলেন, এনিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কথা বলার কোনো এখতিয়ার নেই। এরপরও তাদের কিছু বলার থাকলে, তারা অফিশিয়ালি (দাপ্তরিকভাবে) জানাতে পারে। অফিশিয়ালি তারা কোনো কিছু জানালে তা বিবেচনা করে আমরা প্রয়োজনমতো মুভ (পদক্ষেপ) করবো।

বিরোধের শুরু: ১৩০ বছরের ঐতিহ্যে শোভিত আদালত ভবন এলাকায় আইনজীবীদের জন্য দু’টি নতুন ভবন নির্মাণ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে যায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন ও আইনজীবী সমিতি। নতুন করে দু’টি ভবন নির্মাণের অংশ হিসেবে ‘চেম্বার বরাদ্দ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি’ সাঁটানোর ৯ দিনের মাথায় স্থানীয় পত্রিকায় ‘সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি’ দেয়া হয় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে। এতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন আদালত ভবন এলাকায় স্থাপনা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জানানো হয়েছিল। জেলা প্রশাসন কার্যালয়স্থ স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের অফিসের সামনে গত ২ আগস্ট সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু করেছিল জেলা প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে মাটিও খোঁড়া হয়েছিল। তবে সেই খোঁড়া অংশটি আবার ২৫ আগস্ট ভরাট করে দেন আইনজীবীরা। ওই স্থানটিতে ডিসি অফিসের কর্মকর্তা ও আইনজীবীরা গাড়ি রাখেন। বর্তমান জেলা প্রশাসক আসার পর দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত কিন্তু সেখান থেকেই। সেই বিরোধ এখনো মিটেনি।
তথ্যমতে, জেলা আইনজীবী সমিতি শাপলা ভবনের পাশে ‘বঙ্গবন্ধু আইনজীবী ভবন’ ও আইনজীবী ভবনের পাশে ‘আইনজীবী একুশে ভবন’ নামে দু’টি ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২৬ আগস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের এর মধ্যে আবেদনপত্র বিলি ও গ্রহণ করার কথা বলা ছিল। দুটি ভবনে চেম্বার হবে ৬০০টি। গত ২৫ আগস্ট এ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয় সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের জন্য। পে-অর্ডার মূলে ২ লাখ টাকা সমিতির কাছে প্রদান করার জন্য আগ্রহী আইনজীবীদেরকে বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। আইনজীবী সমিতির এ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের ৯ দিনের মাথায় আদালত ভবন এলাকার সৌন্দর্য নষ্ট করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ না করতে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয় জেলা প্রশাসনের তরফে। বর্তমানে আদালত চত্বরে আইনজীবী সমিতির আছে দুটি মূল ভবন, এনেক্স-১ ও ২ নং ভবন, শাপলা এবং দোয়েল ভবন। এসব ভবনে চেম্বার আছে তিন হাজার ৫০০টি। বর্তমানে সমিতির ভোটার পাঁচ হাজারের মতো হলেও আইনজীবী আছেন সাড়ে ৬ হাজারের মতো। আদালত ভবন এলাকায় বিভিন্ন দোকান আছে সাড়ে তিন শতাধিক। প্রসঙ্গত, আদালত ভবন হিসেবে পরিচিত এ স্থাপনা মুঘল আমলের স্থাপত্য। ব্রিটিশ স্থাপত্যশৈলীর অনুপম নিদর্শন। ১৮৯৩-৯৪ সালে কলকাতার প্রশাসনিক ভবন রাইটার্স বিল্ডিংয়ের আদলে পরীর পাহাড়ে ইংরেজ ও মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর সমন্বয়ে ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৩৭২ টাকা ব্যয়ে নিমার্ণ করা হয় দ্বিতল বিশিষ্ট কোর্ট বিল্ডিং বা আদালত ভবন।

মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম : উন্নয়নে এশিয়ার টাইগার হিসেবে খ্যাত মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়ার আদলে নির্মিত হতে যাচ্ছে ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’। ১১০ একর জায়গা নিয়ে নির্মিত হবে এসব স্থাপনা। ঐতিহ্যবাহী কোর্ট হিল রক্ষায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সরিয়ে নেওয়া হবে সেখানে। প্রায় ৪৪টি সরকারি অফিসের কার্যক্রম পরিচালিত হবে সেখান থেকে। একই ছাদের নীচে সেবা পাবেন জনসাধারণ। দেশের প্রথম সমন্বিত এ সরকারি গুচ্ছ অফিস নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কর্ণফুলী নদীর তীরে কালুরঘাট সেতুর এক কিলোমিটার পশ্চিমে বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির পাশের ৭৩ দশমিক ৪২ একর জমি চিহ্নিতকরণের কাজ শেষ করেছে জেলা প্রশাসন। নগরের চান্দগাঁও (বন্দর) মৌজার বিএস ১ নম্বর খাস খতিয়ানের বিএস ১২১ দাগের ৭৩ দশমিক ৪২ একর জায়গায় সরকারি সমন্বিত এ অফিস গড়ে উঠবে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, কর্ণফুলী নদী লাগোয়া হামিদচরে বর্তমানে জেলা প্রশাসনের অধীন ৭৩ দশমিক ৪২ একর জমি রয়েছে। এর বাইরে আশপাশের জমিগুলো নিয়ে মামলা রয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে এসব সমস্যার সমাধান হলে প্রকল্পের মোট জমির পরিমাণ ১১০ একরে দাঁড়াবে। শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে গড়ে উঠছে ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’ নামের এ প্রকল্প। এখানে ৪৪টি সরকারি দফতর ছাড়াও সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, সার্কিট হাউস, সরকারি ট্রেনিং সেন্টার, ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার, শপিংমল, বহুতল কার পার্কিং, সরকারি স্কুল-কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, পরিবহন পুল, পেট্রল পাম্প, স্মৃতিসৌধ, নভোথিয়েটার ও মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা থাকবে। ১৫০ বছরের প্রাচীন কোর্ট হিলের প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব রক্ষা সম্ভব হবে। সমগ্র পরীর পাহাড় খ্যাত ঐতিহ্যবাহী পাহাড়টি ঝুঁকিমুক্ত করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এখানে থাকা সরকারি অফিসগুলো সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে করে ঐতিহাসিক পাহাড়টির সঙ্গে প্রাচীন স্থাপনাগুলোও রক্ষা পাবে। হামিদ চরের প্রাকৃতিক পরিবেশ ঠিক রাখতে ইতোমধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নির্মিতব্য ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’ যাতায়াতের জন্য বর্তমানে দুটি সড়ক রয়েছে। তবে আগামী ৫০ বছরের নাগরিক সুবিধা মাথায় রেখে ভবিষ্যতের এই সমন্বিত সরকারি অফিস কমপ্লেক্সে যেতে মেরিন ড্রাইভ ও লিংক রোডসহ পাঁচ ধরনের বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করা হবে।
বিরোধ গড়াল আদালত পর্যন্ত: কোর্ট হিল’কে পরীর পাহাড় হিসেবে লিখা, বলা, প্রচার এবং পত্র বিনিময় করা যাবে না মর্মে অন্তবর্তী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ (ভারপ্রাপ্ত) ইসরাত জাহানের আদালত আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে দেওয়ানী কার্যবিধির ১৫৩ ধারায় করা একটি আবেদনের উপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এ সংক্রান্তে মামলাটি দায়ের করা হয় গত ৭ নভেম্বর।
জেলার প্রধান আইন কর্মকর্তা (জিপি) নাজমুল আহসান খান বলেন, কোর্ট হিলকে পরীর পাহাড় বলে প্রচারণা চালানো হচ্ছে, এমন অভিযোগে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সমিতির পক্ষ থেকে করা মামলায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করা হয়। এতে তিনদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়।
এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন বলেন, আইনীভাবে স্বীকৃত ও বহুল প্রচারিত ‘কোর্ট হিল’কে পরীর পাহাড় হিসেবে লেখা শুরু করেছেন বিবাদীরা। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ আগস্ট সিডিএকে দেয়া একটি পত্রে ‘কোর্ট হিলে’র জায়গায় পরীর পাহাড় উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে ওই পত্রের উপর সিডিএ ‘কোর্ট হিল’কে পরীর পাহাড় লিখে গত ১৭ আগস্ট জেলা প্রশাসন বরাবর একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। যেখানে সরকারের কোনোরূপ সিদ্ধান্ত ও অনুমোদন ব্যতিরেকে সিডিএ সচিবকে প্রভাবিত করে ‘কোর্ট হিলে’র জায়গায় পরীর পাহাড় লিখতে বাধ্য করা হয়। মামলার আরজির বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, একটি কাল্পনিক ইস্যু সৃজন করে শত বছরের স্বীকৃত ঠিকানা ‘কোর্ট হিল’ কিংবা ‘আদালত ভবন’ মুছে বা বাদ দিয়ে কল্পিত পরীর পাহাড় নামক সাইন বোর্ড কোর্ট হিলের চতুর্দিকে স্থাপন করতে শুরু করেন জেলা প্রশাসকসহ বিবাদীরা। এমনকি বিভিন্ন সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত সংস্থাকে পরীর পাহাড় লিখতে বাধ্য করছেন বিবাদীরা।

সরকারি ২৫ দপ্তর থেকে চিঠি: নিরাপত্তা ও সৌন্দর্য রক্ষার্থে কোর্ট হিলের অপরিকল্পিত এবং অনুমোদনহীন স্থাপনাগুলো অপসারণের জন্য গত চার মাসে অন্তত সরকারি ২৫টি দপ্তর থেকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এসব স্থাপনা অপসারণের কারণ হিসেবে নিরাপত্তা, সৌন্দর্য রক্ষাকে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এসব চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘অবৈধ’ স্থাপনার কারণে নিয়মিত মনুষ্যসৃষ্ট নানা ঘটনা-দুর্ঘটনার পাশাপাশি বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কাও রয়েছে। স¤প্রতি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি কর্তৃক ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত জমিতে দুইটি ভবন নির্মাণের প্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক জারি করা পত্র অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত জমিতে নতুন কোনও ভবন নির্মাণ না করা এবং ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি কর্তৃক নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ

ভবনগুলো অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন।
চিঠি দেওয়া সরকারি দফতরগুলো হলো-মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, চট্টগ্রাম ওয়াসা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র- চট্টগ্রাম, পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চল কার্যালয়, পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধিশাখা-৯, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ এবং পুলিশ অধিদফতর।