নির্বাচন ও সম্মেলন হাওয়ায় আওয়ামী লীগের বছর পার

282

রাহুল দাশ নয়ন

বছরের শুরুতেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ঘিওে আওয়ামী লীগের সক্রিয়তা ছিল। বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে আলোচনায় আসে আওয়ামী লীগের তৃণমূল সম্মেলন। স্থানীয় সরকারের পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে সবখানেই নির্বাচনী আমেজ থাকলেও সম্মেলনের হাওয়া ছিল সর্বত্র। যদিও নির্বাচনের ঢামাঢোলে সম্মেলনের হাওয়া ভেস্তে যায়। ডিসেম্বরের মধ্যে মহানগর ও দক্ষিণ জেলার সম্মেলন করার কথা থাকলেও তা হয়নি। তবে মহানগরে সম্মেলন হাওয়ার উত্তাপ ছড়িয়েছে বছরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত। সবমিলিয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ততা ছিল বেশি।
চসিক নির্বাচনে বেশকিছু উদ্যোগ নেয়ার পরেও বিদ্রোহী দমনে ব্যর্থ হয়েছিল আওয়ামী লীগ। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল ১০৭জন। স্থানীয় কিংবা কেন্দ্রীয় কোন নেতার কথাই কর্ণপাত করেনি বিদ্রোহী প্রার্থীরা। ৪জানুয়ারি দলের নির্বাহী কমিটির সভাতেও বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানের কথা জানালেও শেষ পর্যন্ত এসব বিদ্রোহী প্রার্থীদের জয়ী করতেই জোরালো ভূমিকা রেখেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
২২ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর সমর্থনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন কেন্দ্রীয় নেতারা। সেই সভায় সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম কামাল হোসেনের সামনে অনেক সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়। তারমধ্যে একটি ছিল বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান পরিষ্কার করা। ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী জয়ী হন।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আমেজ না কাটতেই ঘোষণা করা হয় উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ৭৫সদস্য বিশিষ্ট কমিটি। ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর সম্মেলন হওয়ার প্রায় ১৩মাস পর এ কমিটি হওয়ায় উত্তর জেলা আওয়ামী লীগে স্বস্তি ফিরে আসে। এরমধ্যে দেশব্যাপী সম্মেলনের উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ। যে কারণে কেন্দ্র থেকে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের অনুমোদন ব্যতীত সংগঠনের কোনো শাখার (ইউনিট, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌর, থানা, উপজেলা, জেলা ও মহানগর শাখা) কমিটি বিলুপ্ত না করতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সাংগঠনিক নির্দেশনা দেয়া হয়। এই নির্দেশনা অনুযায়ী সম্মেলন/কাউন্সিল ব্যতীত সংগঠনের যেকোনো পর্যায়ের কমিটি বাতিল করার ক্ষেত্রে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের অনুমোদন ব্যতীত সংগঠনের কোনো পর্যায়ের কমিটি বিলুপ্ত বা বাতিল করা যাবে না।
এরমধ্যে শুরু হয় ইউপি নির্বাচনের তোড়জোড়। উত্তর চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ইউপি নির্বাচন নিয়েই সক্রিয় হয় আওয়ামী লীগ। ২মার্চ চট্টগ্রাম-বোয়ালখালী রুটে বিআরটিসির বাস উদ্বোধনকালে ভার্চুয়াল সভায় মিলিত হয়ে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এরপর থেকে দক্ষিণ জেলায় সম্মেলনের হাওয়া বইতে থাকে।
৩০মার্চ চট্টগ্রাম বিভাগে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয় আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনকে। এর আগে চট্টগ্রামের দায়িত্বে থাকা আহমদ হোসেনকে সিলেট বিভাগের দায়িত্বে পাঠানো হয়। তিনি দায়িত্ব নেয়ার মাস দেড়েক পরই চট্টগ্রামের নেতাদের সাথে বৈঠকের উদ্যোগ নেন। ৯ ও ১০জুন থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের নেতাদের নিয়ে ঢাকায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ৯জুন অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, পটিয়া, আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার আওতাধীন সকল ওয়ার্ড, ইউনিয়নের সম্মেলন আগামী অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেতা মাহবুবুল আলম হানিফ ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। একইসাথে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ পাঁচটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনও সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরদিন সকাল ১১টায় বাঁশখালী, বিকাল ৩টায় চন্দনাইশ ও ৫টায় বোয়ালখালীর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্যদের সাথে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। এ বৈঠকে বাঁশখালীতে পূর্বের গঠন করা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সকল কমিটি বহাল রাখা হয়। এই কমিটিগুলোই অক্টোবরের ভেতর সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নে ওয়ার্ড কমিটিগুলো গঠন করবেন। নভেম্বরের মধ্যে এই উপজেলার সম্মেলন করার কথা ছিল। এছাড়াও ১০জুলাই উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা করারও সিদ্ধান্ত হয়। এ সভায় কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। চন্দনাইশ ও বোয়ালখালীতেও অক্টোবরের মধ্যে সকল ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন শেষে নভেম্বরের মধ্যে উপজেলা সম্মেলন করার কথা বলা হয়েছে। দক্ষিণের আওতাধীন সব কমিটি গঠন শেষে ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়া নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু ইউপি নির্বাচনের ঢামাঢোলে সম্মেলনের কোনধরনের উদ্যোগই নিতে পারেনি দলটির নেতারা।
দক্ষিণ জেলার পর উত্তর ও মহানগর নেতাদের চাঙ্গা করতে গত ১৯জুন চট্টগ্রামে আসেন কেন্দ্রীয় নেতারা। প্রথমদিন হাটহাজারীতে হেফাজতের উত্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের করনীয় বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সে বৈঠকে গত ২৬মার্চ নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজতের উগ্রতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। একই বৈঠক থেকে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যন্ত যেসব কমিটি হয়নি সেগুলো দ্রæত গঠন করতে বলা হয়। এছাড়াও তৃণমূলে সাংগঠনিক শক্তি জোরদার করতে নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি না রেখে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা দেন।
২০জুন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দূর্বলতা থাকাটা দুঃখজনক বলেই অবহিত করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। এ সভা থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হয়। যদিও ডিসেম্বর মাস চলে গেলেও নগর আওয়ামী লীগ এখনো ইউনিট সম্মেলনেই ঘুরপাক খাচ্ছে। ওয়ার্ড সম্মেলন নিয়েও নেতাদের দ্ব›দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে।
এসবের মধ্যেও তৃণমূলে সংগঠনের গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে জেলা, মহানগর ও উপজেলা, থানা ও পৌর শাখার নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক টিম গঠন করা হয়। এ লক্ষ্যে গত ১০জুন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বিভিন্ন সাংগঠনিক ইউনিটগুলোতে পাঠানো হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে জেলা, মহানগর ও উপজেলা, থানা ও পৌর শাখার নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাংগঠনিক টিম গঠন করতে হবে। গঠিত সাংগঠনিক টিমগুলো জেলা, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনা করে আওতাধীন ইউনিটগুলোর বিদ্যমান সমস্যাসমূহ দ্রæত সময়ের মধ্যে সমাধানের উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
৫ জুলাই তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করেই আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাজ চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ভিডিও কনফারেন্সের (জুম) মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের সাতটি জেলার সাথে মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুযা বলেন, তথ্য আদান-প্রদানে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সংগঠনের কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। সংগঠন ডিজিটালাইজেশনের উপর ডিজিটালাইজড সরকারের স্থায়িত্ব নির্ভর করে। যে কারণে সংগঠন পরিচালনায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই।
সাংগঠনিক দূর্বলতা ও সম্মেলন নিয়ে যখন আওয়ামী লীগের টানাপোড়েন চলছে এরমধ্যে নতুন ইস্যুতে রূপ নেয় সিআরবিতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ। এ ইস্যুতে নগর আওয়ামী লীগের নেতারা বিভক্ত হয়ে পড়ে। গত ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত নগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সভাতেই এ ইস্যু নিয়ে নেতাদের মধ্যে হট্টগোল হয়। সে বৈঠকে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী সিআরবি আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য করলে বিভক্তি প্রকাশ্যে রূপ নেয়। পরে ১১ সেপ্টেম্বর নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিনের বাসায় যান নগর আওয়ামী লীগের তিন নেতা। তারা সে বৈঠকে সিআরবি ইস্যু নিয়ে নেতাদের মধ্যে প্রকাশ্যে আসা দূরুত্ব কমিয়ে নেন।
৩০ আগস্ট দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় আওয়ামী লীগের বিভক্তি কাটানোর উদ্যোগ নেন। প্রায় দশ হাজার মানুষের মেজবান আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও লোহাগাড়া-সাতকানিয়ার সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীকে এক মঞ্চে আনা হয়।
৩১ আগস্ট নগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সভায় সদস্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সদস্য সংগ্রহ করতে দশটি টিম করার কথা বলা হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় অক্টোবর থেকে ইউনিট সম্মেলন ও ডিসেম্বরে মহানগর সম্মেলণ করার সিদ্ধান্ত হয়। যদিও ১৯ অক্টোবর তৃণমূলের বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইউনিট সম্মেলন শুরু হয় ১৬ নভেম্বর থেকে। ১৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় নগর আওয়ামী লীগের কয়েকজন সিনিয়র নেতার মধ্যে বাকবিতÐা হয়। একই সভায় দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডে ইউনিট সম্মেলন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলেন এক ব্যক্তি। ১৬ নভেম্বর যথানিয়মে বাগমনিরাম ও দেওয়ান বাজারে পাঁচ ইউনিটের সম্মেলন সম্পন্ন হয়। ২৩ নভেম্বর ঢাকায় চট্টগ্রামের শীর্ষ নেতাদের সাথে নিয়ে কর্মশালায় মিলিত হন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা। এ কর্মশালায় আগামী মার্চের ভেতর তৃণমূল আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
গত ২৩ ডিসেম্বর নগর আওয়ামী লীগের ইউনিট সম্মেলনের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ঢাকায় বৈঠক করেন শীর্ষ কয়েকজন নেতা। সে বৈঠকে শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও অংশ নেন। এ বৈঠক থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা আপাতত ওয়ার্ড সম্মেলন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দেন। আগামী ৮ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বর্ধিত সভা করেই ওয়ার্ড সম্মেলনের সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন বলে নগর আওয়ামী লীগকে জানানো হয়। এরমধ্যে গত ২৮ ডিসেম্বর রাতে ফিরিঙ্গিবাজারে সিডিএ চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জহিরুল আলম দোভাষের বাসায় চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ কয়েকজন সিনিয়র নেতা এক বৈঠকে মিলিত হন। সে বৈঠকে নেতাদের মধ্যে কি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা প্রকাশ্যে না আসলেও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীরা এটিকে নগর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বৈঠক বলেই আখ্যায়িত করেছেন।