কানারাজার গুহা পরিদর্শনে সাংসদ কমল ও প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের ডিজি

111

কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের সাথে রামুর ঐতিহাসিক রহস্যময় কানারাজার গুহা (আঁধার মানিক) পরিদর্শন করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হান্নান মিয়া। গতকাল শনিবার বিকালে তারা গুহাটি পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনকালে কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, রামু প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদে ভরপুর জনপদ। কানারাজার গুহা যার অন্যতম। প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তর এ গুহায় অনুসন্ধান ও জরিপ কাজ করায় রামুবাসী আনন্দিত। এ জরিপ ও অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসবে এ গুহার রহস্য ও প্রকৃত ইতিহাস। তিনি কানা রাজার গুহায় যাতায়াতের সড়ক পাকাকরণ করার আশ^াস দেন এবং পর্যটকদের কানা রাজার গুহা পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান।
মহাপরিচালক মো. হান্না মিয়া জানান, দেশে মাটির গুহা তেমন নেই বললেই চলে। রামুর এ গুহাটি ব্যতিক্রম। এ গুহাটি যেমন দৃষ্টিনন্দন, তেমনি এর আশপাশের পরিবেশও চমৎকার। আগামী শুস্ক মৌসুমে এ গুহাটি খনন করা হবে। তিনি আরো বলেন, রামু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, ইতিহাস-ঐতিহ্যে ভরপুর। এখানে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক যাদুঘর করারও পরিকল্পনা রয়েছে। এর আগে সকাল সাড়ে টায় প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হান্নান মিয়া, রামুর অফিসেরচর গ্রামে ক্যাপ্টেন হিরাম কক্সের বাংলো, লামার পাড়া বৌদ্ধবিহার, কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের উখিয়ারঘোনা এলাকায় পাহাড় চূড়ায় স্থাপিত প্রাচীন লাউয়ে জাদি, রাজারকুল রাংকোট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার এবং উত্তর মিঠাছড়ি প্রজ্ঞামিত্র বন বিহারের ধাতু চৈত্য জাদি পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো. আতাউর রহমান, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন, কবি এম সুলতান আহমদ মনিরী, রামু প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি খালেদ শহীদ, রামু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নীতিশ বড়–য়া, ইউপি সদস্য নেবু রানী শর্মা ও আনার কলি, রফিকুল আলম, হাবিব উল্লাহ ও মেহের আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কক্সবাজার জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ ও অনুসন্ধান কাজের অগ্রগতি দেখতেই মুলত মহাপরিচালকের কক্সবাজারে এ সফর। গত ১৬ নভেম্বর (শনিবার) থেকে কক্সবাজার জেলাতে শুরু হয়েছে মাস ব্যাপি প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ ও অনুসন্ধানের কাজ।প্রাথমিক পর্যায়ে কক্সবাজার সদর, রামু, মহেশখালি, উখিয়া সহ আপাতত ৪টি উপজেলাতেই জরিপ ও অনুসন্ধান কাজ পরিচলনা করা হচ্ছে।