সন্দ্বীপে মিতার পক্ষে কোমরবেঁধে নেমেছে আওয়ামী লীগ

64

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে ১৯৯১, ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করলেও ২০০১ ও ২০০৮ এর নির্বাচনে আসনটি হাতছাড়া হয় তাদের। ২০১৪ এর ৫ জানুয়ারি পুনরায় আওয়ামী লীগ এখানে জয়লাভ করে। এবারও আসনটি ধরে রাখতে মহাজোট থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতার সমর্থনে ঐক্যবদ্ধ সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগ। মনোনয়নকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগে কিছুটা বিভক্তি সৃষ্টি হলেও মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর সে সমস্যা কেটে গেছে। মনোনয়ন প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময় যে ক’জন চেয়ারম্যান এম.পি মিতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন এখন তারাও প্রায় সকলে তার জয়লাভে মরিয়া হয়ে কাজ শুরু করেছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর নৌকার জয়লাভ নিশ্চিত করতে উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা আহব্বান করে সকল দ্বিধাবিভক্তির অবসান ঘটিয়েছে। প্রার্থীর প্রচারণা ও নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনায় গঠন করা হয়েছে বিভিন্ন কমিটি।
দলীয় প্রার্থীর জয়লাভ নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তত্ত্বাবধানে তৃণমূল থেকে ৭৯টি কেন্দ্রের নির্বাচন পরিচালনায় কেন্দ্র কমিটি গঠন সহ কেন্দ্রে কেন্দ্রে এজেন্ট নিয়োগের জন্য ইতোমধ্যে প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন পাড়ায় পাড়ায় চলছে ভোট প্রার্থনা। ভোট প্রার্থনায় পৃথকভাবে নেমেছে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলালীগ সহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। এদিকে ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে প্রার্থীসহ একটি করে কর্মী সভা করছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি কর্মীসভাগুলো সফল করতে এখন ব্যস্ত তৃণমূলের নেতা-কর্মী। ইতোমধ্যে ৬৫ টি কেন্দ্রভিত্তিক কর্মীসভা সম্পন্ন করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। আগামী ২৪ তারিখের মধ্যে সকল কর্মীসভাগুলো সম্পন্ন করার টার্গেট নেয়া হয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন কর্মী সভায় উপস্থিত থেকে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছেন মহাজোট প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতা। এসব সভায় তিনি নৌকার জয়লাভ নিশ্চিত করতে প্রতিটি ঘরে ঘরে ভোট চাওয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের আহব্বান জানান। তিনি বলেন,‘ সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুতে স›দ্বীপকে আলোকিত করেছে। আওয়ামী লীগ পুনরায় জয়লাভ করলে বিচ্ছিন্ন স›দ্বীপকে শহরে পরিণত করা হবে। অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এখানকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে’। অনুষ্ঠিত বিভিন্ন কর্মী সভায় সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত থেকে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মাষ্টার শাহজাহান, ভাইস চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন মিশন, আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি মো. আলী খসরু, ফোরকান উদ্দিন, আলাউদ্দিন বেদন, আবুল খায়ের নাদিম, লায়ন মিজানুর রহমান, জামাল উদ্দিন, ফখরুল ইসলাম পনির, জাপা’র সম্পাদক সাহাব উদ্দিন প্রমুখ। এ আসনে আওয়ামী লীগের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থীর প্রচারণা এখনও নেই বললেই চলে। এদিক থেকে প্রচার-প্রচারণায় আওয়ামী লীগ এগিয়ে থাকায় ফুরফুরে মেজাজে আছেন মহাজোট প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। জয়লাভের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার শাহজাহান বি.এ বলেন, ‘নৌকার জয়লাভ নিশ্চিত করতে আমাদের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন, আশা করি আগামী ৩০ তারিখ আসনটি আমরা পুনরায় শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারব ইনশাল্লাহ’।