বাজারে এখনো বিক্রি হচ্ছে মানহীন সেই ৫২ পণ্য

60

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারসহ অলি-গলির দোকানগুলোতে এখনও বিক্রি হচ্ছে মানহীন ৫২ পণ্য। শনিবারের (১৮ মে) মধ্যে পণ্যগুলো প্রত্যাহার করার বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকলেও উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো তা করেনি।
গত ১২ মে নিম্নমানের এসব পণ্য বাজার থেকে জব্দ করে ধ্বংস করতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নিদের্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এদিকে হাইকোর্টের রায়ের পর ৭দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত তেমন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শুধু বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এ পর্যন্ত ৫২টি পণ্যের মধ্যে ৯টির লাইসেন্স বাতিল করেছে। তবে হাইকোর্টের রায়ের পর অনেক ভোক্তা সচেতনও হয়েছেন। অনেকে বাজার করতে গিয়ে সঙ্গে নিয়ে গেছেন বিক্রি নিষিদ্ধ মানহীন সেই ৫২ পণ্যের তালিকা।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, ধোলাইপাড়, ধূপখোলা মাঠ, দয়াগঞ্জ বাজার, সূত্রাপুর, শ্যামপুর, নয়াবাজার, রায়সাহেব বাজার, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন বাজারের ডিপার্টমেন্টাল স্টোরসহ বেশ কিছু দোকানে খোঁজ নিয়ে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এসব বাজার ছাড়াও অলি-গলির দোকানগুলোতে এখনও নিষিদ্ধ সেই ৫২ পণ্য বিক্রি হচ্ছে। তবে এসব পণ্য দোকানের সামনে রেখে বিক্রি করতে দেখা যায়নি। দোকানের পেছনে রেখে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
এদিকে দুয়েকটি কোম্পানি কিছু পণ্য বাজার থেকে সরালেও এখনো শেষ করতে পারেনি। এছাড়া অন্যান্য কোম্পানির পণ্যও রয়ে গেছে বাজারে। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের এসব পণ্য সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিতেও দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন দোকানিরা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এসব পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অনেকেই জানেন না। আবার এমনও রয়েছেন যারা জেনেশুনেই ক্রেতাদের গছিয়ে দিচ্ছেন মানহীন পণ্যগুলো। আর এতে প্রতারিত হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ভোক্তারা।
সূত্রাপর বাজারের মেসার্স বিসমিল্লাহ স্টোরের মো. রিপন বলেন, আমরা এখনো এসব পণ্য বিক্রি করছি। তবে পণ্যগুলোর উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছে, তারা বাজার থেকে এসব পণ্য উঠিয়ে নেবে। উঠিয়ে নিলে তো আর বিক্রি করবো না। গতকাল তীরসহ দুটি কোম্পানি কিছু পণ্য নিয়ে গেছে। তবে এখনো অনেকে আসেনি। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এসব কোম্পানির পণ্য বিক্রি করছি। যাত্রাবাড়ী বাজারের কাজল জেনারেল স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী কাজল বেপারী বলেন, তীরসহ অন্যান্য দুয়েকটি কোম্পানি মানহীন পণ্য উঠিয়ে নিচ্ছে। তবে সবপণ্য নিতে পারেনি। কিন্তু বাঘাবাড়ীর ঘিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো পণ্য নেয়নি। অনেকে আমাদের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেছে। বার্তা সংস্থার খবর