জেনে রাখুন কালো জামের উপকারিতা

181

জাম গাছের উৎপত্তি ভারতেই। এরপর ধীরে ধীরে এই গাছ ছাড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। এই গাছের ফলের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নাম যেমন ব্ল্যাক প্লাম, জাম্বুল, জাম্বোলান, জাম্বাস, মালাবার প্লাম, রজামান, নেরেডু, কালা জামুন, নাভাল, জামালি, জাভা প্লাম ইত্যাদি। এই ফল জুন আর জুলাই মাসে পাওয়া যায়। আজকে রইলো এই ফল খাওয়ার উপকারিতা।
১) রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে : জামে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে । আর আয়রন থাকার ফলে রক্তে হেমোগ্লোবিন বেড়ে যায় ফলে রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। যারা রক্তল্পতায় ভুগছেন তাদের জন্য জাম খুবই ভালো ।
২) চোখ ও ত্বকের জন্য ভালো : এতে ভিটামিন অ আর ঈ আছে । এছাড়াও এতে থাকে বিভিন্ন মিনারেল যা আমাদের চোখ এবং ত্বকের জন্য খুব উপকারী । ৩) হজমে সাহায্য করে : জাম খেলে পেট ঠান্ডা হয় ফলে দ্রæত হজম হয়। তাই যাদের অম্বলের সমস্যা আছে তারা বেশি করে জাম খেলে উপকার পাবেন ।
৪) ত্বক ফ্রেশ রাখে : অ্যাসট্রিনজেন্ট প্রপার্টি থাকার ফলে জাম ত্বক অয়েল ফ্রি রাখে। এছাড়াও অ্যাকনে আর কালো ছোপ দূর হয় ।
৫) ইনফেকশনের হাত থেকেও রক্ষা করে : জামে উপস্থিত অক্সিলিক অ্যাসিড, গ্যালিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড, ট্যানিন, বেটুলিক অ্যাসিড ইনফেকশন দূরে রাখে। এছাড়াও জাম অ্যান্টি ম্যালেরিয়াল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়ালও। ৬) দাঁত এবং মাড়ি সুস্থ রাখে : আগেই বলেছি এতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টি আছে, এর সাহায্যে দাঁত এবং মাড়ি ভালো থাকে। এছাড়াও মুখের দুর্গন্ধ দূরে রাখতেও সাহায্য করে। ৭) সিজনল ডিজিজ থেকে রক্ষা করে : জামে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন ঈ থাকে ফলে শরীর ইমিউনিটি বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীরকে কমন সিজানাল ডিজিজ এর হাত থেকে রক্ষা করে । ৮) হার্ট ভালো রাখে : জামের মধ্যে উপস্থিত পটাসিয়াম হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে উচ্চ রক্ত চাপ কমায় ফলে কার্ডিও ভাসকুলার ডিজিজ দূরে রাখে। ৯) শরীরে ভৎবব ৎধফরপধষ তৈরি হতে দেয় না : জামের উপস্থিত ধহঃযড়পুধহরহং যার থেকে জামের গাঢ বেগুনি রং আসে তা এক ধরণের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা শরীরে ভৎবব ৎধফরপধষ তৈরি হতে দেয় না। এর ফলে বিভিন্ন ইনফেকশন এবং প্রি ম্যাচিওর এজিং হতে দেয় না। ১০) রক্তে চিনির মাত্র নিয়ন্ত্রণ করে : যাদের ডায়বেটিস হয়েছে তাদের জন্য জাম খুব ভালো। এতে অ্যান্টি ডায়েবেটিক প্রপার্টি আছে যা রক্তে চিনির মাত্রা কমায়।
এই ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ার ফলে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। এছাড়াও অতিরিক্ত তেষ্টা পাওয়া বা বারবার মূত্রত্যাগ যা ডায়বেটিসের লক্ষণ এগুলো ও নিয়ন্ত্রণে রাখে। শুধু ফল নয়, এই গাছের পাতা, ডাল, ফলের বিচি সব কিছু দিয়েই ডায়েবেটিসের ট্রিটমেন্ট করা হয়। সূত্র : ইন্টারনেট

পেয়ারার যত গুনাগুণ

১. পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ১৮০ মি.গ্রাম ভিটামিট ‘সি’ থাকে, যা কমলার তুলনায় পাঁচগুণ বেশি। ২. পেয়ারায় আছে ভিটামিট ‘এ’ ও ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স। ৩. আছে যথেষ্ট পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন। ৪. সেই সঙ্গে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ফলিক এসিড ও নিকোট্রিন এসিড। ৫. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত রাখতে পেয়ার বেশ কাজ দেয়। ৬. রক্তসঞ্চালন ভাল রাখে ফলে হার্টের রোগীরা পেয়ারা খেতে পারেন।
৭. নিয়মিত পেয়ার খেলে কোলেস্টোরেলও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ৮. অ্যাজমা, স্কার্ভি, ওবিসিটি ইত্যাদি অসুখের ক্ষেত্রেও পেয়ারা বেশি উপকারী। ৯. ডায়বেটিস, ক্যান্সার, প্রস্টেট ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে পেয়ারা। ১০. কমপ্লেক্স কার্বহাইড্রেট ও ফাইবার সমৃদ্ধ পেয়ারা রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
১১. পেয়ারা পাতার জুস গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যায় উপকারী। কারণ পেয়ারার পাতায় রয়েছে শক্তিশালী এন্টিএক্সিডেন্ট। ১২. পেয়ারা ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং এর জুস সর্দি কাশি উপশম করে।
১৩. আয়রণ ও ফাইবার সমৃদ্ধ পেয়ারা কনস্টিপেশান সারানোর জন্য উপকারী। ১৪. বয়সের সঙ্গে জড়িত নানা রোগ যেমন অ্যালজাইমার, ছানি, রিউমেটেড, আথ্রাইটিস প্রতিরোধে পেয়ারা সাহায্য করে।
১৫. এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানে সমৃদ্ধ পেয়ারা ডিসেনট্রি প্রতিরোধ করে। সূত্র : ইন্টারনেট