রাশিয়াকে টপকে তৃতীয় স্থানে যাবার পথে ভারত

36

ভারতে গত কয়েক মাসের সব রেকর্ড ভেঙে গত চব্বিশ ঘণ্টায় প্রায় পঁচিশ হাজার নতুন করোনা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছেন বলে সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গেই ভারতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পৌনে সাত লাখে পৌঁছাল এবং অল্প সময়ের মধ্যেই রাশিয়াকে টপকে ভারত বিশ্বের করোনা মানচিত্রে তৃতীয় স্থানটি দখল করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই বিপদের মুখে সরকার এখন হাজার হাজার রোগী থাকতে পারবে, এমন বিশাল সব মেকশিফট করোনা হাসপাতাল বানানোর কাজ করছে। ভারতই বিশ্বের নতুনতম করোনা হটস্পট হিসেবে উঠে আসবে কি না, সেই প্রশ্নে অবশ্য বিশেষজ্ঞরা এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নন। গত এক সপ্তাহ ধরেই ভারতে প্রতিদিন নতুন করোনা পাজিটিভ কেস পাওয়া যাচ্ছিল আঠারো হাজারের মতো, কিন্তু গত চব্বিশ ঘণ্টায় সেই সংখ্যাটা এক লাফে বেড়ে দাঁড়ায় ২৪ হাজার ৮৫০ জনে।
আজ সোমবার সকালেই ভারত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় রাশিয়াকেও টপকে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে তখন গেøাবাল করোনা মানচিত্রে ভারতের চেয়ে আগে থাকবে শুধু আমেরিকা আর ব্রাজিল।
ভারতে এযাবত মোট পৌনে সাত লাখ কেসের মধ্যে দুলাখেরও বেশি শুধু মহারাষ্ট্রেই। আর রাজধানী দিল্লিতেও সংখ্যাটা প্রায় এক লাখের কাছাকাছি। খবর বিবিসি
ইন্ডিয়ান পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল ড. সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ বলছিলেন, ভারত দেশটা এত বড় আর দেশের নানা জায়গায় নানাভাবে এর ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে। কাজেই করোনার ‘পিক’-টাও কিন্তু এক এক জায়গায় এক এক সময়ে আসছে। যেমন, দিল্লিতে পিক-টা প্রায় এসেই গেছে বলা চলে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে পিক-টা আরও একটু দেরিতে আসবে মনে হচ্ছে। জনসংখ্যা, জনবসতির ঘনত্ব ও আরও নানা ফ্যাক্টরের ওপর এটা নির্ভর করছে। বলা যেতে পারে, ভারতের এক একটা রাজ্য যেন পৃথিবীর ছোট ছোট এক একটা দেশের মতো আচরণ করছে।
ভারতের এক এক রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি এক এক রকম, দেখা যাচ্ছে সঙ্কট ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি ও কৌশলও বিভিন্ন রাজ্যে আলাদা। তবে সারা দেশেই সামান্য করোনা টেস্টিং করানোর জন্য মানুষকে এখনও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে, আর পজিটিভ হলে হন্যে হতে হচ্ছে একটা হসপিটাল বেডের জন্য।
দিল্লির এক তরুণী স্মিতা শর্মা যেমন বলছিলেন, বস্তুত কোনটা যে কাজ করবে আর কোনটা করবে না তা নিয়ে সরকারই যেন নিশ্চিত নয় মনে হচ্ছে। ফলে মানুষের মধ্যে স্বভাবতই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।