নগরীতে তীব্র তাপমাত্রায়ও ‘মাথাব্যথা’ নেই চসিকের

17

ওয়াসিম আহমেদ

নগরীর সড়কদ্বীপে লাগানো হয়েছে সৌন্দর্যবর্ধনকারী বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। যাতে সৃষ্টি হয় সবুজ সমারোহ ও শীতল পরিবেশ। ফলে তীব্র তাপমাত্রা থেকে রক্ষা পাবে নগর ও নগরবাসী। কিন্তু পলিথিন আর নানা আবর্জনায় ভরে গিয়ে বিবর্ণরূপ নিয়েছে সে সবুজ। দেখেই বোঝা যায়, লাগানোর পর পরিচর্যার ছোঁয়া লাগেনি শোভাবর্ধনকারী এসব গাছের গায়ে। নগরীর চকবাজার থেকে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ সড়কের সড়কদ্বীপে এমন চিত্রের দেখা গেছে।
শুধু চকবাজার এলাকা নয়, পুরো নগরজুড়েই সবুজায়নে ভাটা পড়েছে। নতুন উদ্যোগ দূরে থাক, যেগুলো আছে সেগুলোতেই তদারকি ও যতেœর কোন ছাপ নেই। এমনকি উত্তপ্ত তাপমাত্রার এমন পরিস্থিতিতেও কোন মাথাব্যাথা নেই চসিকের। অন্যদিকে নগরীতে পানি ছিটানো, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সবুজায়নের গুরুত্বারোপ ও গবেষণা শুরু করেছে দেশের অন্য সিটি করপোরেশনগুলো।
খবর নিয়ে জানা গেছে, গাছ রোপন ও নিয়মিত পরিচর্যা করতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৭০ জন মালি রয়েছে। কর্তাদের সুষ্ঠু তদারকির অভাবে কাজ না করেই বেতন ভোগের অভিযোগ রয়েছে এসব মালির বিরুদ্ধে। বেতনধারী মালি থাকলেও গাছ রোপন ও নিয়মিত পরিচর্যার এমন ভয়াবহ অবস্থার মতই ধুকছে চসিকের নগর পরিকল্পনা শাখা। চসিকের নগর পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান একেএম রেজাউল করিম ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর অবসর গ্রহণের পর, সহকারী স্থপতি আবদুল্লাহ আল ওমরকে নগর পরিকল্পনাবিদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয় ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি। ওমর ছাড়া আরও দুই জন কর্মকর্তা আছেন, তারা হলেন- সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ নূর উদ্দিন ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন আলী চৌধুরী। এ তিনজন কর্তার অধীনে ৭০ জন মালিসহ ৯০ জন কর্মী রয়েছেন।
এ শাখার প্রধান কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে- সৌন্দর্যবর্ধন, বনায়ন ও ল্যান্ডস্ক্যাপ, বস্তি উন্নয়ন, নকশা প্রণয়ন ও অনুমোদন এবং জিআইএস ম্যাপিং। এসব কাজের মধ্যে সুনামের নজির না থাকলেও সৌন্দর্যবর্ধনের মুলা ঝুলিয়ে ফুটপাত-খালি জায়গায় দোকান বসিয়ে বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
তবে শাখাটির প্রধানের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা আবদুল্লাহ আল ওমর জানান, ‘তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে পানি ছিটানোর কথা মেয়র মহোদয়কে বলেছিলাম। কেন ছিটানো হচ্ছে না, তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানেন। সামনের বর্ষায় আমাদের গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’
এসব নিয়ে চসিকে প্রধান নির্বাহী শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম পূর্বদেশকে বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে আমাদের যেসব কর্মী রয়েছে, তাদের তিন ঘণ্টা বিশ্রাম দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সামনে বর্ষায় আমরা ব্যাপক হারে গাছ লাগাতে বাজেট রেখেছি। অন্যদিকে বেশ কয়েকটি এনজিও’র সাথে কথা হয়েছে। তারাও গাছ লাগাবে এবং পরিচর্যার দায়িত্ব নিবে।’