সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আবু সোলায়মান চৌধুরীর ইন্তেকাল

214

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সরকারের সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব (১৭তম) বাঁশখালী তথা চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান মো. আবু সোলায়মান চৌধুরী গত শুক্রবার রাত ১১টা ৪৫মিনিটে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…. রাজেউন)
ব্রেন স্ট্রোক পরবর্তী বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় তিনি কয়েক মাস ধরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রশাসন ক্যাডারে প্রবেশ করেন। প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা দীর্ঘ চাকরি জীবনে পাবনা, শরীয়তপুর ও ঢাকার ডিসি (ডেপুটি কমিশনার), ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রথম সচিব ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকা অবস্থায় তিনি পাকিস্তান থেকে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের লাশ বাংলাদেশে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেন।
২০০৭ সালে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর তিনি বাংলাদেশ সরকারের উপমন্ত্রীর মর্যাদায় বাংলাদেশ প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সৎ, নির্মোহ, সাধারণ জীবন-যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। প্রচারবিমুখ সরকারের এই শীর্ষ কর্মকর্তা মৃত্যুকালে স্ত্রী, ২ ছেলে, ১ মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহীকে রেখে যান।
আজ রবিবার আসরের নামাজের পর বাঁশখালীর সাধনপুর পল্লী উন্নয়ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার নামাজে জানাজে অনুষ্ঠিত হবে।
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সোলায়মান চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর কবির চৌধুরী, বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইনী, অধ্যাপক শহীদুল আলম চৌধুরী বুলবুল, সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাকিমুল হায়দার খান, আমিনুর রহমান চৌধুরী, আকতার হোছাইন এমএ, ইব্রাহিম খলিল, বাঁশখালী সমিতি চট্টগ্রামের সভাপতি ইউএসটিসির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক লায়ন এম আইয়ুব প্রমুখ।