ব্যাংকের বাতিল নোটের টুকরো নিয়ে বগুড়ায় তুলকালাম

61

ঢাকায় ক্যাসিনো কান্ডের মধ্যে বগুড়ার এক গ্রামে রাস্তা ও বিলের ধারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফেলে দেওয়া বাতিল নোটের টুকরো নিয়ে হুলুস্থুল কান্ড ঘটেছে।
শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে তারা খবর পান, উপজেলার খাড়–য়া ব্রিজ এলাকার চান্দাই গ্রামে রাস্তার পাশের ঢালে কুচি কুচি করে কাটা টাকার টুকরো পড়ে আছে।
ততক্ষণে আশপাশের এলাকা থেকে কয়েক হাজার নারী পুরুষ ওই বিলের ধারে জড়ো হয়েছেন। ওই টাকার উৎস নিয়ে তাদের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। খবর বিডিনিউজের
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের ভয়ে কেউ অবৈধ টাকা নষ্ট করেছে কি না- সেই প্রশ্ন তখন ঘুরছে উপস্থিত জনতার কথায়। গতকাল মঙ্গলবার বগুড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ফেলে দেওয়া বাতিল নোটের টুকরো পাওয়া যায় উপজেলার চান্দাই গ্রামে রাস্তার পাশে বিলের ধারে।
বগুড়ায় মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফেলে দেওয়া বাতিল নোটের টুকরো পাওয়া যায় উপজেলার চান্দাই গ্রামে রাস্তার পাশে বিলের ধারে।
বিলের মধ্যে নোটের বস্তা থাকতে পারে এই ধারণা থেকে কয়েকজন পানিতে নেমে ডুব দিয়ে টাকা খুঁজতে শুরু করেন। কিন্তু পানিতেও ওই টুকরো টাকাই পাওয়া যায়।
অনেকে সেই টুকরো টাকা হাতে করে, লুঙ্গিতে ভরে নিয়ে যান। সকাল থেকে চলা এই উত্তেজনার অবসান ঘটে দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুলিশ তথ্য পাওয়ার পর।
বগুড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) জগন্নাথ ঘোষ বলেন, নষ্ট হয়ে যাওয়া বা বাতিল টাকার নোট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী নষ্ট করে ফেলা হয়।
আগে এসব নোট পুড়িয়ে ফেলা হত। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর বলেছে, তাতে পরিবেশ দূষণ ঘটে। তাই এখন ১০০ থেকে ১০০০ টাকার নোট মেশিনে কুচি কুচি করে কেটে ফেলা হয়। পরে আমরা তা পৌরসভার মাধ্যমে ফেলে দেওয়ার ব্যবস্থা করি।
বগুড়ায় মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফেলে দেওয়া বাতিল নোটের টুকরো পাওয়া যায় উপজেলার চান্দাই গ্রামে রাস্তার পাশে বিলের ধারে। এরকম ২৪০ বস্তা বাতিল নোটের টুকরো ফেলে দেওয়ার জন্য পৌরসভাকে দেওয়া হয়েছিল বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কর্মকর্তা জানান।
বগুড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি পাওয়ার পর পৌরসভার গাড়ি চালক মাসুদ আতাউল ও শহীদুলকে বাতিল নোটের বস্তা ফেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী তারা গত রবিবার সন্ধ্যায় পৌরসভার ট্রাকে করে বস্তা নিয়ে খাড়ুয়া ব্রিজের কাছে ফেলে দেয়।
গাড়ি চালক মাসুদ জানায়, প্রতি ট্রাকে ৩৫টি করে বস্তা ছিল। খাড়ুয়া ব্রিজের কাছে তাদের বাড়ি বলে ওই এলাকাকেই তারা বস্তা ফেলার জন্য বেছে নেন।