চন্দনাইশ উপজেলার পূর্ব হাশিমপুর পাহাড়ি এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তহবিল থেকে বরাদ্দ দিয়ে ৭০ পরিবারের জন্য একতলা বিশিষ্ট পাকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৪টি সেটের ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার পূর্ব হাশিমপুর লাল পাহাড়ের পাদদেশে মনোরম পরিবেশে দৃষ্টিনন্দন ১৪টি পাকা সেট নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত¡াবধানে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ইট, বালি, কংক্রিট ব্যবহার করে ১৪টি সেট নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। প্রতিটি সেটে ৫টি পরিবারের জন্য উপরে ছাদ জমিয়ে সেটগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি পরিবারের জন্য একটি করে বারান্দা, শয়ন কক্ষ, রান্না ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৪টি সেটের মধ্যে ৮টি সেটে ছাদ দিয়ে দরজা-জানালার কাজও সম্পন্ন করা হয়েছে।
চলতি বছর এপ্রিল মাসে কাজটি শুরু হয়ে আগামী অক্টোবর মাসে সেটগুলোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। এসব সেটে এলাকার ভূমিহীন ৭০টি পরিবার সরকারিভাবে বরাদ্দ পেয়ে ঘরে অবস্থান নেবেন। প্রতিটি সেটের জন্য দু’টি করে গোসলখানা, একটি করে টয়লেট নির্মাণ হবে। প্রতিটি সেটের জন্য একটি করে ১৪টি টিউবওয়েল ও দু’টি সেটের মাঝখানে একটি করে মোট ৭টি ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করা হবে।
বর্তমানে সেটগুলোর নির্মাণ কাজ এগিয়ে গেলেও টিউবওয়েল, টয়লেট ও গোসলখানার কাজ শুরু হয়নি। এসব সম্পন্ন করতে আরও কয়েকমাস অতিবাহিত হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সেটগুলোর উত্তর পাশ ঘেষে রয়েছে পাহাড়। স্থানীয়দের মতে অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে পাহাড়ের মাটি আবাসন প্রকল্পের ঘরের পিছনে ভেঙে পড়তে পারে। এজন্য প্রয়োজনে গার্ড ওয়াল নির্মাণ করার অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ আশ্রয়ন প্রকল্পে থাকা বাসিন্দারা ৩টি পথ ব্যবহার করে যাতায়ত করতে পারবে। ফলে এটি সুন্দর আবাসন হবে গৃহহীন মানুষের জন্য। চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম বদরুদ্দোজা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অর্থায়নে সারাদেশের ন্যায় চন্দনাইশে ৭০টি পরিবারের জন্য ১৪টি সেট নির্মাণ হচ্ছে পূর্ব হাশিমপুর লাল পাহাড়ের পাদদেশে। সেনাবাহিনীর একটি দল কাজটি তদারক করছেন।