পাসপোর্ট করতে গিয়ে রোহিঙ্গা নারীসহ আটক ৫

23

বান্দরবানে পাসপোর্ট করতে গিয়ে আটক হন এক রোহিঙ্গা নারী। গত সোমবার বান্দরবান পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্টের কাগজপত্র জমা দিতে গেলে তাকে আটক করে পুলিশ। তার নাম সায়েকা। তিনি উখিয়া পালংখালী ক্যাম্পের হামিদুল্লাহর মেয়ে।
এছাড়া তাকে সহযোগিতার করার দায়ে গ্রাম পুলিশসহ আরও চারজনকে আটক করা হয়। তারা হলেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের জামছড়ির বাসিন্দা জকরিয়া ও গ্রাম পুলিশ আব্দুল মালেক, মো. জোবাইর, ছৈয়দ হোসেন ও এলেম খাতুন।
জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী তার জন্মনিবন্ধন, জাতীয়তা সনদ, হেডম্যান সনদসহ পাসপোর্টের যাবতীয় কাগজপত্র সত্যায়িত করেন। এছাড়া সদর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ আব্দুল মালেক রোহিঙ্গা নারীকে পার্সপোট করে দেওয়ার জন্য ২ লক্ষ টাকায় চুক্তি করেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জকরিয়া জানান, তার ছেলে মালেশিয়ায় থাকে। ছেলের বউ করার জন্য সায়েকাকে বিদেশ পাঠানোর জন্য পাসপোর্ট করতে নিয়ে আসি। এ ঘটনার পর পুলিশ সায়েকার পিতা পরিচয়দানকারী ছৈয়দ হোসেন, তার স্ত্রী এলম খাতুন ও মেয়ে রেজিয়া আক্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। এদিকে রোহিঙ্গা নারীর পাসপোর্ট ফরম সত্যায়িত করা প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী বলেন, আমার এলাকার বাসিন্দা ছৈয়দ হোসেনের পাসপোর্ট ফরম সত্যায়িত করেছি। সে আমার পরিচিত। তাই আমি ভাল করে যাচাই করিনি। কিন্তু যাকে পাসপোর্ট করতে নিয়ে গেছে তাকে আমি চিনি না। সে আমার সাথে প্রতারণা করেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। প্রয়োজনে আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। বান্দরবান সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে পাসপোর্ট করতে এসে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, আটককৃত সায়েকা পালংখালী ক্যাম্পের শরণার্থী। তার কাছে রোহিঙ্গা কার্ড রয়েছে। প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।