৯ ফায়ার কর্মীর আত্মত্যাগ

21

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরী থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সীতাকুন্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মী প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন তিন ফায়ার ফাইটার। এছাড়া আগুন নেভাতে গিয়ে আহত বাহিনীর ১৫ কর্মীকে সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অগ্নিদুর্ঘটনায় তাদের ১২ জন কর্মী নিখোঁজ ছিলেন। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে ৯ জনের। ওই নয়জনের মধ্যে পরিচয় শনাক্ত করা গেছে আট জনের। এক জনের মরদেহ শনাক্তে ফরেনসিক পরীক্ষার শরণাপন্ন হতে হচ্ছে।
বাহিনীর আত্মদানকারী সদস্যদের মধ্যে এখন পর্যন্ত যাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে তারা হলেন- সীতাকুন্ডের কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার মানিকগঞ্জের বাসিন্দা রানা মিয়া, একই ফায়ার স্টেশনের নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট কুমিল্লার মনিরুজ্জামান, ওই ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার নোয়াখালীর আলাউদ্দিন ও শাকিল তরফদার, একই ফায়ার স্টেশনের লিডার রাঙামাটির মিঠু দেওয়ান, সীতাকুন্ড ফায়ার স্টেশনের লিডার রাঙামাটির নিপন চাকমা, ওই ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার শেরপুরের রমজানুল ইসলাম এবং ফেনীর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। বাকি একজনের মরদেহ মিললেও পরিচয় শনাক্তে ফরেনসিক পরীক্ষার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে এখনও নিখোঁজ থাকা তিন ফায়ার কর্মীর নামও বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তারা হলেন- কুমিরা ফায়ার স্টেশনের লিডার চাঁদপুরের বাসিন্দা ইমরান হোসেন মজুমদার, একই স্টেশনের ফায়ার ফাইটার সিরাজগঞ্জের শফিউল ইসলাম, সীতাকুন্ড ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার নওগাঁর রবিউল ইসলাম, এবং একই স্টেশনের ফায়ার ফাইটার রংপুরের বাসিন্দা ফরিদুজ্জামান। তাদের মধ্যে একজনের মরদেহ পাওয়া গেলেও পরিচয় শনাক্তে ফরেনসিক পরীক্ষার অপেক্ষায় রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।