গরম-লোডশেডিংয়ে চার্জার ফ্যানের দামে ‘আগুন’

15

এম এ হোসাইন

গরম আর লোডশেডিংয়ে এখন অতিরিক্ত চাহিদা চার্জার ফ্যানের। আবার চাহিদার বিপরীতে যোগানও কম। এ সুযোগে চার্জার ফ্যানের দামে ‘আগুন’। নেওয়া হচ্ছে দ্বিগুণ দাম।
নগরের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের অন্যতম প্রধান বাজার রাইফেল ক্লাব মার্কেটে অভিযান চালিয়ে ফ্যানের দামে নানা অসঙ্গতি পাওয়ায় সতর্ক করার পাশাপাশি জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তবে এর তেমন কোন প্রভাব পড়েনি বাজারে। অতিরিক্ত দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের ফ্যান ও এসি। গরম ও লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ মানুষ নিরূপায় হয়ে বাড়তি দামে ফ্যান কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
মূলত বাড়তি চাহিদা আর কম যোগানের সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাড়িয়েছে ফ্যানের দাম। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের ফ্যানের দাম বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে চার্জার ফ্যানের দাম। নগরের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার রাইফেল ক্লাব মার্কেট, রিয়াজউদ্দিন বাজার থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি বাজারের চিত্রই একই। চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করতে না পারায় ব্র্যান্ডশপগুলোতেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চার্জার ফ্যান।
ফ্যানসহ ইলেকট্রনিক্স পণ্য অতিরিক্ত দামে বিক্রি হওয়ার খবর পেয়ে গত সোমবার রাইফেল ক্লাব মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করেছিল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে অতিরিক্ত দামে ফ্যান বিক্রি করায় ৩ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ও সতর্ক করা হয়েছিল। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর এমন অভিযান অব্যাহত রাখবে বলেও তখন ঘোষণা দিয়েছিল। অভিযানের পরও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ফ্যান, এয়ারকুলারসহ চাহিদা থাকা ইলেকট্রনিক্স পণ্য।
রিয়াজউদ্দিন বাজারে চার্জার ফ্যান কিনতে আসা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, একদিকে গরম, অন্যদিকে লোডশেডিং। চার্জার ফ্যান অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। মার্কেটে এসে দেখি দাম দ্বিগুন। দুই-আড়াই হাজার টাকার চার্জার ফ্যান ৬ হাজার টাকার উপরে চায়। এতো দামে তো আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়। সামান্য দুই-তিনশ টাকা দামে যে ফ্যানগুলো বিক্রি হতো, সেগুলোও এখন হাজার টাকার উপর।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, চার্জার ফ্যানের মধ্যে ফিফেন্ডার, ক্যানেডি, ভিশন, ক্লিক, ওয়ালটন, নোভা এসব ব্র্যান্ডের চাহিদা বেশি। এর মধ্যে ফিফেন্ডার ৫ হাজার টাকা, ক্যানেডি ৫ হাজার টাকা, এসকে ডিফেন্ডার সাড়ে ৬ হাজার টাকা, নোভা ৬ হাজার টাকা, ওয়ালটন ৭ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মূলত ১২ ইঞ্চির চার্জার ফ্যান ৩ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা এবং ১৪ ও ১৮ ইঞ্চির চার্জার ফ্যান ৬ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ফ্যানেই এক থেকে দেড় হাজার টাকা বেড়েছে।
রিয়াজউদ্দিন বাজারের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকানের বিক্রয়কর্মী জামাল বলেন, গরমে বিভিন্ন আইটেমের ফ্যানের বেচাবিক্রি ভালো হয়। এবার গরম শুরু হলেও ফ্যানের চাহিদা বেশি বাড়েনি। তবে লোডশেডিং আর গরম একসাথে হওয়ায় এখন চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেশি। পণ্য সংকটের কারণে দাম কিছুটা বাড়তি। ফ্যানের দাম বাড়ায় কাস্টমার অসন্তোষ হয়। অনেকে তর্কাতর্কিতেও জড়াচ্ছে। কিন্তু এরচেয়ে কম দামে কোথাও পাওয়া সম্ভব নয়।