৭ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

8

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাইকালে সাত প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এড. এসএম তোফাইল বিন হোসাইন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম হোসাইনীসহ কাউন্সিলর পদের ৫১ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১১টা থেকে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম যাচাই বাছাই শেষে সাত কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন পূর্বদেশকে বলেন, ‘আচরণবিধি না মানলে জরিমানা করবো। এতে আপনাদের সম্মানহানি হবে। ভোটাররা তখন ভাববে কেমন প্রার্থীকে ভোট দিব। এ নির্বাচন দ্বারা যাতে বাঁশখালী কলঙ্কিত না হয়। কোন হিংসা বিদ্বেষ যেন না হয়। কোন প্রার্থী হিংসা বিদ্বেষ ছড়ালে পরবর্তী প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নির্বাচনে জয়ী হওয়া মানে বাহাদুরি নয়। জয়ী হওয়া মানে আরো বেশি দায়িত্ব অর্পিত হলো। নির্বাচনে জেতার চেয়ে অবস্থান ধরে রাখা অনেক বড়। আচরণবিধি মেনে চলবেন। জনপদ শান্ত রাখবেন। তিনদিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।’
বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন ১নং ওয়ার্ডের আবদুর রহমান, ২নং ওয়ার্ডের আব্দুল লতিফ, ৩নং ওয়ার্ডে সাহাবুদ্দিন রবিন, ৫নং ওয়ার্ডে আহমদুর রহমান, মাঈনুল ইসলাম মানিক, ৭নং ওয়ার্ডে মো. হারুন ও ৯নং ওয়ার্ডে মহিবুল্লাহ।
১নং ওয়ার্ডে আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলেন আনসুর আলী নামের এক প্রার্থীর আইনজীবী। আবদুর রহমান তার হলফনামায় তিনটি মামলা উল্লেখ করলেও আরো তিনটি মামলার তথ্য গোপন করেন।
এই প্রার্থীর বিরুদ্ধে ৬টি মামলা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম। এসময় রিটার্নিং কর্মকর্তা দুপুর পর্যন্ত সময় দিয়ে বিকেলে আবদুর রহমানের মনোনয়ন বাতিল করেন। ২নং ওয়ার্ডে আব্দুল লতিফ আয়কর পরিশোধের কাগজ ও সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় তার মনোনয়ন বাতিল হয়।
৩নং ওয়ার্ডে সাহাবুদ্দিন রবিন একটি মামলার তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়ন বাতিল হয়। ৫নং ওয়ার্ডে আহমদুর রহমান আয়কর দাখিল না করায় মনোনয়ন বাতিল হয়। একই ওয়ার্ডে মাঈনুল ইসলাম মানিকের বিরুদ্ধে হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ করেন আহমদুর রহমান নামে এক প্রার্থী। সেটির সত্যতা প্রমাণ পেলে তার মনোনয়ন বাতিল হয়।
৭নং ওয়ার্ডে মো. হারুন সম্পদ বিবরণী না দেয়ায় ও মামলার তথ্য গোপন করার অভিযোগে তার প্রার্থীতা বাতিল হয়। ৯নং ওয়ার্ডে মহিবুল্লাহ সম্পদ বিবরণী ও মামলার তথ্য গোপন করায় তার প্রার্থীতা বাতিল হয়।
বাঁশখালীর নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফয়সল আলম বলেন, ‘আমরা ছোটখাট ভুলগুলো মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে ছাড় দিয়েছি। কিন্তু আয়কর রিটার্ন দাখিল না করা, সম্পদ বিবরণী না দেয়া, মামলার তথ্য গোপন করার অভিযোগে সাত প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।’