হাটহাজারীতে ইউএনও পরিচয়ে চাঁদা দাবি

81

বুধবার। ঘড়িতে তখন সকাল ৯টা ৮মিনিট। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর ক্যাম্পাসস্থ নিজ আবাসস্থল থেকে কর্মস্থল হাটহাজারী উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাসমীন আখতার কাকলী। ওই সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমিনের মোবাইল থেকে ফোন আসে তার মোবাইলে। এতে ইউএনও ওই শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশনা দেন যে, তার আওতাধীন ক্লাস্টারের কয়েকজন প্রধান শিক্ষক যেন দ্রুত তার সাথে ফোনে কথা বলে।
এরমধ্যে তিনি বাসা থেকে বের হতে না হতেই উত্তর ফতেয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার দেওয়ানজী ফোন করে জানান, তাকে ইউএনও ফোন করেছেন। ফোনে বলেছেন, একটা প্রজেক্ট থেকে কিছু দামি ল্যাপটপ এসেছে। এসব সবাইকে দেওয়া হবে না। তাই দুইটি ল্যাপটপ তাকে দেবার কথা বলে সাতহাজার টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দিতে বলেছেন।
বিষয়টি শিক্ষা অফিসারের কাছে সন্দেহ হওয়ায় তিনি দ্রুত উপজেলা পরিষদে পৌঁছে ইউএনও রুহুল আমিনের সাথে দেখা করেন। এতে তিনি জানতে পারেন, তার (ইউএনও) মোবাইল নম্বর ক্লোন করে বুধবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক, কর্মকর্তাসহ নানাজনের কাছে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দুষ্কৃতকারীরা। এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় তিনি হাটহাজারী মডেল থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি পরে বিষয়টি জানতে পারি। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে দুটি ল্যাপটপ দেবার কথা বলে আমার মোবাইল নম্বর ক্লোন করে একটি প্রতারকচক্র টাকা দাবি করছে। আমার নামে কোনো প্রকার অর্থ লেনদেন না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি। বিষয়টি জানার পর আমি আমার নম্বর থেকে কেউ কোনো টাকা-পয়সা চাইলে না দেয়ার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ করে ফেসবুকে সতর্কতামূলক পোস্ট দিয়েছি। এই প্রতারকচক্রকে ধরার জন্য চেষ্টা চলছে। আর ওই চক্রটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’