স্বাধীনতার কবি

26

আ.ফ.ম. মোদাচ্ছের আলী

তিনি আন্দোলন। তিনি বিপ্লব। তিনি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ। তিনি জাতি নির্মাণের কারিগর। তিনি মহাকাব্যের অমর নায়ক। স্বাধীনতার কবি। সমকাল তাঁকে স্বীকৃতি দিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। ভাবীকাল তাঁকে স্বীকৃতি দেবে মহাকাব্যের মহানায়ক।
জনগণের কাছে তিনি বন্ধু। জাতির কাছে পিতা। বিশ্বের কাছে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা (Founding Father)। এখন তিনি “বিশ্ব বন্ধু” অভিধায় অভিষিক্ত। তাঁর সম্পর্কে বিদেশি সাংবাদিক সিরিল ডান বলেছেন “বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে শেখ মুজিবই একমাত্র নেতা যিনি রক্তে, বর্ণে, ভাষায়, কৃষ্টিতে এবং জন্মসূত্রেও ছিলেন খাঁটি বাঙালি। তাঁর দীর্ঘ শালপ্রাংশু দেহ, বজ্রকন্ঠ, মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করার বাগ্মিতা এবং জনগণকে নেতৃত্বদানের আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব ও সাহস তাঁকে এ যুগের এক বিরল মহানায়কে রূপান্তর করেছে।” যুক্তরাষ্ট্রের “নিউজউইক” পত্রিকা বলেছে, “শেখ মুজিব রাজনীতির কবি (Poet of Politics)। বিলেতের মানবতাবাদী আন্দোলনের নেতা মনীষী লর্ড ফেনার ব্রকওয়ে বলেছেন, “জর্জ ওয়াশিংটন, মহাত্মা গান্ধী, ডি ভ্যালেরার চেয়েও শেখ মুজিব এক অর্থে বড় নেতা।” মিশরের আল আহরাম পত্রিকার সাবেক সম্পাদক এবং অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাংবাদিক হাসনাইনহাইকেল বলেছেন, “নাসের কেবল মিশরের নন, সারা আরব জাতির মুক্তিদূত। তাঁর আরব জাতীয়তাবাদ আরব জনগণের শ্রেষ্ঠ মুক্তি প্রেরণা। তেমনি শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশের নন, বাঙালি জাতির মুক্তিদূত। তাঁর বাঙালি জাতীয়তাবাদ বাঙালির সভ্যতা ও সংস্কৃতির নবঅভ্যুদয় মন্ত্র। মুজিব বাঙালির অতীত ও বর্তমানের শ্রেষ্ঠ মহানায়ক। ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে জোটনিরেপক্ষ শীর্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকে আলিঙ্গন করে কিউবার নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রো বলেছিলেন, “আমি হিমালয় পর্বত দেখিনি। শেখ মুজিবকে দেখলাম। ব্যক্তিত্বে ও সাহসে এ মানুষটি হিমালয়। আমি হিমালয় দেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম।”
একটি জাতির মাতৃভাষা, জাতীয় সঙ্গীত এমনকি দেশের নাম পর্যন্ত যিনি দিয়েছিলেন, তিনি তো হিমালয়সম মহানায়কই। বঙ্গবন্ধু জীবনে সর্বমোট ৮৬৮২ বিন কারাগারে ছিলেন স্বপ্নের বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য। আর তাঁর সেই আরাধ্য স্বপ্নের দেশে যেদিন তিনি ফিরে এলেন (১০ জানুয়ারি ১৯৭২), সেদিন রেসকোর্সের লাখো জনতার সামনে বক্তৃতা শুরু করলেন এভাবে, “আমি প্রথমে স্মরণ করি আমার বাংলাদেশের ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, বুদ্ধিজীবী, সেপাই, পুলিশ, জনগণকে। হিন্দু, মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছে আমি তাদের আত্মার মঙ্গল কামনা করে আমি আপনাদের কাছে দু-একটা কথা বলতে চাই। আমার বাংলাদেশ আজ স্বাধীন হয়েছে, আমার জীবনের সাধ আজ পূর্ণ হয়েছে, আমার বাংলার মানুষ আজ মুক্ত হয়েছে। আমি আজ বক্তৃতা দিতে পারবো না। বাংলার ছেলেরা, বাংলার মায়েরা, বাংলার কৃষক, বাংলার শ্রমিক, বাংলার বুদ্ধিজীবী যেভাবে সংগ্রাম করেছে। আমি কারাগারে বন্দি ছিলাম, ফাঁসি কাষ্ঠে যাবার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু আমি জানতাম আমার বাঙালিকে কেউ দাবায় রাখতে পারবে না। আমার বাংলার মানুষকে। আমি আমার সেই যেই ভাইয়েরা আত্মাহুতি দিয়েছে, শহীদ হয়েছে তাদের আমি শ্রদ্ধা নিবেদন করি, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি আজ প্রায় ৩০ লক্ষ লোককে মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে বাংলায়। ২য় মহাযুদ্ধেও এবং ১ম মহাযুদ্ধেও এত লোক এত সাধারণ নাগরিক মৃত্যুবরণ করে নাই, শহীদ হয় নাই, যারা আমার এই সাত কোটির বাংলাদেশে হয়েছে। আমি জানতাম না আপনাদের কাছে আমি ফিরে আসবো। আমি খালি একটা কথা বলেছিলাম, তোমরা যদি আমাকে মেরে ফেলে দাও আমার আপত্তি নাই, মৃত্যুর পরে আমার লাশটা বাঙালির কাছে দিয়ে দিও এই একটা অনুরোধ তোমাদের কাছে।”
স্বপন দুয়ার খুলে দিয়ে বাস্তব দেশে ফিরে এসে তিনি নিজ গৃহ ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে যান নি, যান নি জীবনের সঙ্কটে, সম্ভাবনায় পাশে থেকে অবিচল আস্থার প্রতীক হিসেবে যিনি পাশে ছিলেন প্রিয়তমা স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কাছে। সরাসরি গিয়েছিলেন রেসকোর্সে তার বাঙালির কাছে। যেই রেসকোর্সে এক বছরেরও কম সময় পূর্বে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণে তিনি বলেছিলেন, “আপনারা আমার উপর বিশ্বাস নিশ্চয় রাখেন জীবনে আমার রক্তের বিনিময়েও আপনাদের সঙ্গে বেঈমানী করি নাই। প্রধানমন্ত্রীত্ব দিয়েও আমাকে নিতে পারে নাই। যে রক্ত দিয়ে আপনারা আমাকে একদিন জেলের থেকে বাইর করে নিয়ে এসেছিলেন, এই রেসকোর্স ময়দানে আমি বলেছিলাম, আমার রক্ত দিয়ে আমি রক্তের ঋণ শোধ করবো মনে আছে? আমি রক্ত দেবার জন্য প্রস্তুত।” বছর না ফুরোতেই সেই রেসকোর্সে ফিরে স্বাধীন বাংলার মাটিতে ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে তাঁর সাবলীল ও দরাজ গলায় এবার তিনি বললেন, “নেতা হিসেবে নয়, প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয়। আমি তোমাদের ভাই, তোমরা আমার ভাই। এ স্বাধীনতা আমার ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়। এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা বোনেরা কাপড় না পায়। এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এদেশের মা-বোনেরা ইজ্জত আর কাপড় না পায়। এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এদেশের মানুষ যারা আমার যুবক শ্রেণির আছে তারা চাকরি না পায় বা চান্স না পায়। মুক্তিবাহিনী, ছাত্রসমাজ, কর্মী বাহিনী তোমাদের মোবারকবাদ জানাই। তোমরা গেরিলা হয়েছো, তোমরা রক্ত দিয়েছো। রক্ত বৃথা যাবেনা, রক্ত বৃথা যায় নাই। একটা কথা- আজ থেকে, আজ থেকে বাংলায় আর চুরি ডাকাতি না হয়, বাংলায় যেত আর লুটতরাজ না হয়। আমরা মানুষ, মানুষ ভালোবাসি। তবে যারা দালালি করেছে, যারা আমার লোকদের ঘরে ঢুকে হত্যা করেছে, তাদের বিচার হবে এবং শাস্তি হবে। তাদেরকে বাংলার স্বাধীন সরকারের হাতে ছেড়ে দেন। একজনকেও ক্ষমা করা হবে না। তবে আমি চাই স্বাধীন দেশে, স্বাধীন নাগরিকের মত স্বাধীন আদালতে বিচার হয়ে এদের শাস্তি হবে। আপনাদের আমি দেখায় দিবার চাই দুনিয়ার কাছে শান্তিপূর্ণ বাঙালি রক্ত দিতে জানে। শান্তিপূর্ণ বাঙালি শান্তি বজায় রাখতেও জানে। আমায় আপনারা পেয়েছেন, আমি আসছি। জানতাম না আমার ফাঁসির হুকুম হয়ে গেছে। আমার সেলের পাশে আমার জন্য কবর খোঁড়া হয়েছিল। আমি প্রস্তুত হয়েছিলাম। বলেছিলাম, আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান একবার মরে, দুইবার মরে না। আমি বলেছিলাম আমার মৃত্যু আসে থাকে যদি আমি হাসতে হাসতে যাবো। আমার বাঙালি জাতকে অপমান করে যাব না, তোমাদের কাছে ক্ষমা চাইবো না। এবং যাবার সময় বলে যাবো, জয় বাংলা, স্বাধীন বাংলা, বাঙালি আমার জাতি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলার মাটি আমার স্থান। ভাইয়েরা আমার, যথেষ্ট কাজ পড়ে রয়েছে আপনারা জানেন।” বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর প্রথম বক্তব্যের এ অংশে প্রতিভাত হয়ে উঠে দেশ গড়ার প্রত্যয়, বাঙালির আত্মমর্যাদা এবং দেশ বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিচারের সুস্পষ্ট উচ্চারণ। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এদেশের পররাষ্ট্রনীতির গোড়াপত্তন করেন। প্রথমে তাঁর বক্তব্য ছিল, এখন দেশ গড়ার পালা। আমাদের অঞ্চলে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার পরিবেশই হলো সবচেয়ে উপাধেয়। তিনি আরো বলেছিলেন আমার বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের জন্য সকলের সাহায্য চাই। একই সঙ্গে তিনি ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনা দেন এই বলে যে, বাংলাদেশ হবে এশিয়ার সুইজারল্যান্ড। এ প্রসঙ্গে বলা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশে একটি লিবারেল সোসাইটি বা উদারনৈতিক সমাজ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিভঙ্গি, সহনশীল মনোভাব এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ছিল তার মধ্যে অন্যতম। মানুষের মধ্যে মহানুভবতাকে জাগ্রত করতে তিনি সচেষ্ট ছিলেন। তিনি যে বাংলার মাটি ও মানুষকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন তার একটি উদাহারণ হলো জনৈক বিদেশি সাংবাদিক তাঁকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলেন, What is your qualification? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, “I love my people.” বিদেশি বিজ্ঞ সাংবাদিক পুনরায় প্রশ্ন করেছিলেন, What is your disqualification? বঙ্গবন্ধু শান্তস্বরে জবাব দিয়েছিলেন, “I love them too much..”
এ থেকেই বুঝা যায়, বঙ্গবন্ধুর শক্তি, সাহস, ভালোবাসা ও প্রেরণা ছিল তাঁর দেশের মানুষ।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাঙালি জাতির জন্য একটি বড় প্রেরণার উৎস। ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকেই বঙ্গবন্ধু সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। রাষ্ট্রভাষার দাবিতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক শেখ মুজিবুর রহমান ও মহিউদ্দিন আহমদ ১৯৫২ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ সালে যুবনেতা মুজিবের নেতৃত্বে প্রথম প্রভাতফেরী নেমেছিল ঢাকার রাজপথে। মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন শেখ মুজিব ও মাওলানা ভাসানী।
১৯৬৬ সালে ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে চৌধুরী মুহাম্মদ আলীর বাসভবনে বিরোধী দলের এক নির্বাচনী সভায় বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৬ দফা কর্মসূচি পেশ করার মাধ্যমে বাঙালি জাতী রাষ্ট্রের বীজ বপন করেছিলেন। আর ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু সেই ৬ দফা চট্টগ্রামের লালদীঘির ময়দানের জনসভায় আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন। জনসভা ডাকা হয়েছিল চট্টগ্রাম সিটি আওয়ামীলীগের নামে। ৬ দফাকে ‘বাঙালির মুক্তি সনদ’ আখ্যা দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে একটি পুস্তিকা বের করা হয়। পুস্তিকাটি প্রকাশের ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সিটি আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলম ও সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান। এ ৬ দফায় মূলত একটি জাতি রাষ্ট্র গঠনের সনদ ছিল। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নাম, জয়বাংলা শ্লোগান, আমার সোনার বাংলা জাতীয় সঙ্গীত, সবই তিনি ধীরে ধীরে তৈরি করে জাতীর সামনে উপস্থাপন করেছিলেন। জয়বাংলা শ্লোগান নিয়েছিলেন কবি নজরুলের ‘ভাঙার গান’ কাব্যগ্রন্থ থেকে। ‘আমার সোনার বাংলা বিশ^কবি’ রবীন্দ্রনাথ থেকে। ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর পৈশাচিক গণহত্যার মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন। কিন্তু গ্রেফতার হওয়ার পূর্বেই তিনি বাঙালি জাতীর স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যেতে ভুল করেননি। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণাকে কেন্দ্র করে The guardian প্রকাশ করে Shortly before his arrest, MUJIB has issued a proclamation to his people, which informed them; you are citizens of a free country..’ একই দিনে অর্থাৎ ২৭ মার্চ ১৯৭১ দিল্লীর স্টেটম্যান প্রকাশ করে ‘Bangladesh declares freedom- Rahman’s step follow’s army cracdown’’.
২৯০ দিন পাকিস্তানের কারাগারে বিভীষিকাময় দিন শেষে লন্ডন দিল্লি হয়ে মুক্ত স্বাধীন স্বদেশের মাটিতে পা রাখেন তিনি। পাকিস্তানের কারাগারে গোপনে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সকল প্রকার আয়োজন প্রায় সম্পন্ন করেছিল পাকিস্তানের সামরিক জান্তা। কিন্তু বাঙালির প্রাণ শক্তি তাঁকে ফিরিয়ে আনে নব প্রভাতের অরুণ আলোয়। বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠ কীর্তি। তিনি আবহমান বাংলার প্রাণপ্রবাহ। পাখির গানে, নদীর কলতানে, সুর্যের শৌর্যে, চাঁদের কিরণে, বাতাসের উচ্ছ¡াসে, ভোরের শিশিরে, ভাটিয়ালীর সুরে তিনি চিরদিনের ও চিরকালের জন্য জাগ্রত ও জীবন্ত। খুলে দিয়েছেন বাঙালির স্বপন দুয়ার।

লেখক : ছড়াকার, প্রাবন্ধিক ও গবেষক