স্বাগত বন্ধু

21

 

জানিনা কি লিখতে কি লিখি। কি বলতে কি উপস্থাপন করি তা আবার শুরু হবে বাদানুবাদের কাড়াকাড়ি!!
জানিনা কোথায় আমাদের সমস্যা? কোন বিষয়ে শুরুর দিকে সব খোলে বলতে। ব্যস্ততায় পরে আর বলা হয়না, ভেজালের ফারাক শুরু, কে আর কার দায়িত্ব নেয়? যার যার ঢোল সে সে পিটায়। শুরু হয় হররোজ হরতাল।
বন্ধু সভায় বেসামাল।
চলে হরদম গোলমাল,
কদিন গেলেই হয় টালমাটাল।
অতঃপর কোন এক বিকেলে
সব্বাই হয়ে উঠে দামাল সামাল।
বন্ধু বলেইতো সবাই সমান। সবাই সমবয়সী। জীবনের ধারাপাতে কেউ কেউ হয়তো বটবৃক্ষ হয়ে আছে। সমাজের বড় বড় মানুষ! আমরা যারা ছোট ছোট জনগোষ্ঠীর সাথে মিশে আছি তারাও মানুষ। আমরাও বন্ধুতায় হতবিহ্বল হয়ে উঠি। আশায় স্বপ্ন জাগায় বটবৃক্ষের মায়ায়।
বটবৃক্ষ ছায়া দেয়,মায়া দেয়, নির্যাতন সহে, কালের সাক্ষী হয়ে আগলে রাখে সবকিছু..
কখনো কিছু গোপন করে না। কাউকে কাউকে কম বেশী ভালোবাসে না। সবার জন্য এককাট্টা হয়ে থাকে। একেক জনকে একেকটা বলে আশার বান ছড়ায় না। বটবৃক্ষ তো কেবলই বৃক্ষ নয় একটা মায়ার বন্ধন।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের স্রোতে কোথায় যেন হারিয়ে ফেললো নিজের স্বকীয়তা। কোথাও কোথাও ডালপালা আর ছড়ায় না। ভর দুপুরে আর ছায়ার ডানা ছড়ায় না।
দেখি! আমাদের বটবৃক্ষ সখের বনসাই হয়ে উঠেছে। একটা চারকোনা টবের বাসিন্দা হয়ে বেড়ে না উঠে বিন্দুর মাঝেই কাটিয়ে দেয় বেলা অবেলার সবটুকু সময়..!
এমনটা হওয়ার কথা ছিলোনা। কেন এমন হয়?
বুও আমরা আশায় থাকি। একদিন এ সবের শেষ হবে। খোলা আকাশ আবারো উন্মুক্ত হবে বটবৃক্ষের।
ছায়া হবে মায়া ছড়াবে।
সবার জন্য সবার দ্বার উন্মুক্ত হবে।
আমি থেকে আমরা হবে।