স্ত্রীর আগের ঘরের মেয়েকে ধর্ষণ করল লোকটা

10

পটিয়া প্রতিনিধি

কর্ণফুলীতে মায়ের অনুপস্থিতিতে এক কিশোরীকে (১৩) একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সৎ বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সৎ বাবা মো. আইয়ুবকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ।
ওসি জানান, কিশোরীর মায়ের করা মামলায় সৎ বাবাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তার মো. আইয়ুব পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের মৃত উকিল আহমদের ছেলে। পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্র জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর বাবা মারা যাওয়ার পর তার মা মো. আইয়ুবকে বিয়ে করেন। আগের সংসারের তিন মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ে তাদের বাবার বাড়িতে দাদির সাথে থাকে। দ্বিতীয় সংসারে ছোট মেয়ে ও বোনকে নিয়ে কিশোরীর মা আইয়ুবের সঙ্গে উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের খুইদ্দারটেকে ভাড়া বাসায় থাকেন। কিশোরীর মা ও খালা স্থানীয় একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করেন।
গত শুক্রবার সকালে কিশোরীর মা তার মেয়ে ও বোনকে বাসায় রেখে চাকরিতে যান। এদিন দুপুর ১ টার দিকে কিশোরীর খালা ওষুধ আনার জন্য ফার্মেসিতে যান। এই সুযোগে অভিযুক্ত আইয়ুব ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। দুপুর দেড়টার দিকে কিশোরীর খালা ফার্মেসি থেকে বাসায় ফিরে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করলেও কোন সাড়া শব্দ পাননি। একপর্যায়ে আইয়ুব দরজা খুলে দ্রæত ঘর থেকে বেরিয়ে যান। পরে কিশোরী তার খালাকে জানায় তাকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছেন আইয়ুর। এরপর রাত ৮ টার দিকে কিশোরীর মা বাসায় ফিরলে ভুক্তভোগীর খালা কিশোরীর মাকে সব ঘটনা জানায়।
ওই সময় কিশোরী আরও জানায় যে, গত দুই বছর ধরে তার মা ও খালা গার্মেন্টসে গেলে আইয়ুব তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে তার ক্ষতি করারও হুমকি দেন আইয়ুব।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার চারদিন পর গত সোমবার কর্ণফুলী থানায় মামলা করেন ওই কিশোরীর মা। পরে একইদিন রাতে আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা জানান, তার স্বামী মেয়ের সঙ্গে এমন করতে পারেন চিন্তাও করেননি। আইয়ুবের হুমকির ভয়ে তারা পুলিশের কাছে যেতে পারেননি বলেও জানান তিনি।
কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বলেন, কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। কিশোরীকে পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের পাঠানো হয়েছে এবং ডিএনএ টেস্ট করার জন্য নমুনা নিতে আবেদন করা হয়েছে। ওসি আরও জানান, আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।