স্ত্রীকে নিয়ে ‘বাজে’ কথা বলায় ডেকে নিয়ে খুন

65

স্ত্রী সম্পর্কে ‘বাজে’ কথা বলায় ক্ষোভ থেকেই মো. আরিফ বন্ধু সাখাওয়াত হোসেন ফাহিমকে ফোনে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে খুন করেন। গত মঙ্গলবার ভোলার রতনপুর থেকে আরিফকে গ্রেপ্তারের তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মেহেদী হাসান।
আরিফ চকবাজার থানার ডিসি রোডের আবু কলোনির বাসিন্দা মো. খোকনের ছেলে।
গত ২৩ আগস্ট ওই এলাকার একটি ভবনের পরিত্যক্ত পানির ট্যাংক থেকে এক তরুণের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই লাশটি ফাহিমের বলে শনাক্ত করে পরিবারের সদস্যরা।
ফাহিমের নিখোঁজ হওয়ায় চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছিলেন তার বাবা। সংবাদ সম্মেলনে উপ-কমিশনার মেহেদী বলেন, ভোলা সদর থানার রতনপুর থেকে মঙ্গলবার আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফাহিমকে হত্যার পর রতনপুরে খালার বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ জানিয়েছেন, ২০ আগস্ট সকালে ফাহিমকে খুন করে আবুল কাশেম ভবনের দ্বিতীয় তলায় পরিত্যাক্ত পানির ট্যাংকে লাশ ফেলে পালিয়ে যান তিনি।পুলিশ কর্মকর্তা মেহেদী বলেন, ‘প্রতিবেশী হওয়ায় আরিফ ও ফাহিম একসাথে আড্ডা দিত এবং ইয়াবা সেবন করত। ফাহিম বিভিন্ন সময়ে আরিফের স্ত্রীকে নিয়ে বাজে কথা বলত বলে আরিফ দাবি করেছে। আরিফের দাবি, হত্যাকান্ডের দুইদিন আগে ইয়াবা সেবনের সময় ফাহিম তার স্ত্রীর সাথে সঙ্গ দেওয়ার সুযোগ করে দিতে প্রস্তাব দেয়। পাশাপাশি স্ত্রী চাকরি থেকে বাসায় ফিরলে বাসা থেকে বের হয়ে ‘সুযোগ’ করে দেওয়ার কথাও বলে’।
এতে আরিফ মনঃক্ষুন্ন হয়ে ফাহিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে বলে পুলিশকে জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০ আগস্ট সকালে আরিফ বাসা থেকে বের হয়ে তার বন্ধু শাহাবউদ্দিনের মোবাইল থেকে ফোন করে ফাহিমকে তার বাসায় আসতে বলে। না আসায় শাহজাহান নামের আরেক যুবকের মোবাইল থেকে আবারও ফাহিমকে ফোন করেন আরিফ। ফাহিম ফোন সেখানে যাওয়ার পর আরিফ তাকে কথার ছলে আবুল কাশেম ভবনের ছাদে পরিত্যাক্ত পানির ট্যাংকের কাছে নিয়ে যান। আরিফ আগেই ছুরি ও একটি কাঁথা সেখানে রেখে দিয়েছিলেন। সেখান দুইজন বসে গল্প করার এক পর্যায়ে আরিফ ছুরি দিয়ে ফাহিমের গলায় পোঁচ দেন এবং মৃত্যু নিশ্চিত করতে বুক, পেট, পিঠে এলাপাতাড়ি ছুরি মারেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর রউফ বলেন, ‘ফাহিমকে মারার পর আরিফ অক্সিজেন এলাকায় যায় এবং সেখানে স্ত্রীর সাথে দেখা করে ৮০০ টাকা নিয়ে ভোলা চলে যায়। বিভিন্নভাবে অনুসন্ধান চালিয়ে ভোলার রতনপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং গ্রেপ্তারের পর পুরো ঘটনা একাই ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।’ খবর বিডিনিউজের