স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে কবিরাজের যাবজ্জীবন সাজা

17

নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক কবিরাজের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে। আসামির নাম মো. হারুন। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। আসামি মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানার মধ্যম আজম নগর ছুনিমিঝির বাড়ির মৃত মাওলানা আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি ভিকটিমের মা মো. হারুন কবিরাজের কাছে পানির মোটর চুরির বিষয়ে আয়না পড়ার জন্য গেলে একজন কুমারী লাগবে বলেন।পরদিন ভিকটিম ১১ বছরের শিশুকে নিয়ে যান। প্রথমে কিছুক্ষণ ঝাড়ফুঁক ও তাবিজ লিখে দেন। পরে মো. হারুন কবিরাজ নিজের ঘরে নিয়ে তেল মালিশের নাম করে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। ভিকটিমের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে ফেনী ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় একই বছরের ২৪ জানুয়ারি মামলা করেন।
এই বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর পিপি খন্দকার আরিফুল আলম জানান, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে মো, হারুন নামে এক আসামিকে বিচারক যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন। এছাড়া ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা অনাদায়ে ৩ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। জরিমানার টাকা ভিকটিমের পরিবারকে দিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মামলায় আনা অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এ কারণে আসামিকে উল্লেখিত সাজা ও জরিমানা করা হয়েছে। মামলা প্রমাণ করতে আটজনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে আদালতে।