সেন্টমার্টিনে স্পিডবোট ডুবি ১৯ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার

4

কক্সবাজারে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটের অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে ঢেউয়ের কবলে পড়ে সেন্টমার্টিনের কামাল হোসেনের মালিকানাধীন একটি স্পিডবোট ডুবে গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় জেলেরা তিন শিশুসহ ১৯ যাত্রীকে উদ্ধার করেন। গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটের নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর বাংলানিউজের
বিষয়টি নিশ্চিত করে সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) আবদুল বাতেন বলেন, ‘টেকনাফগামী একটি স্পিডবোট শাহপরীর দ্বীপের কাছাকাছি গিয়ে ডুবে যায়। তবে কোনও যাত্রী হতাহত হয়নি। মূলত অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে স্পিডবোটটি ডুবে যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আক্তার কামাল বলেন, সেন্টমার্টিন থেকে যাওয়ার পথে নাফ নদীতে যাত্রীবাহী একটি স্পিডবোট ডুবে যায়। কমাল হোসেনের মালিকাধীন এই বোটে অতিরিক্ত যাত্রী ছিল কি না জানা নেই। তবে যাত্রীরা নিরাপদে আছেন। এ বিষয়ে জানতে লাইম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
সেন্টমার্টিন স্পিডবোট মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি ও ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম জানান, যে স্পিডবোডটিতে দুর্ঘটনা হয়েছে, এটা আমাদের সমিতির নয় এবং এটি উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া চলছিল। সেন্টমার্টিনের জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে অনুমোদনহীন ও অদক্ষ ড্রাইভার দিয়ে কয়েকটি স্পিডবোট টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে যাত্রী পরিবহন করে আসছে। যে কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নিলে আরও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, যুবে যাওয়া স্পিডবোটটি মালিক সমিতির অন্তর্ভুক্ত নয়। এটি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই চলাচল করতো। এর মালিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।