সেন্টমার্টিনে জাহাজের স্টাফদের হামলার শিকার চবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী

25

চবি প্রতিনিধি

সেন্টমার্টিনে ট্যুরে গিয়ে এমভি বে ক্রুজ-১ জাহাজের স্টাফদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাদের উপর দুইবার হামলা করা হয় বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার পৌনে দুইটার দিকে সেন্টমার্টিনের জেটিঘাটে জাহাজের ভেতর প্রথম দফা হামলা করা হয়। পরে টেকনাফ জেটিঘাটে আসার পর তাদের উপর আবারো হামলা হয়। এ ঘটনায় নারী শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মারধরের শিকার অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী হৃদয় সাহা জানান, অনলাইনে মোট ৭৫টি সিট বুকিং দিয়ে গিয়েছিলেন তারা। যাওয়ার সময় ঠিকমতো যেতে পারলেও বিপত্তি বাঁধে ফেরার সময়। এসময় তারা জাহাজে উঠে দেখেন তাদের সিটগুলোতে অন্য লোকেরা বসে আছেন। এসময় তারা কোনোভাবেই তাদেরকে সিট থেকে উঠাতে পারেননি। বেশ কয়েকজন নারী শিক্ষার্থী অসুস্থ থাকায় দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করার শক্তি তাদের ছিল না। এক পর্যায়ে লুৎফুর রহমান খোকা নামে জাহাজের এক সুপারভাইজার সিটে থাকা ওই লোকদের কড়া ভাষায় কথা বলে সিট থেকে উঠে যেতে বলেন। এসময় শিক্ষার্থীদের সাথে থাকা অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ আফতাব হোসেন ওই সুপারভাইজারকে বলেন, ‘আপনি মাথা গরম করিয়েন না। আমি একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। আমি তাদেরকে বুঝিয়ে বলতেছি’। একথা বলার সাথে সাথেই ওই সুপারভাইজার ‘কিসের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক’ একথা বলে ওই শিক্ষকের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তার প্রতিবাদ করলে ওই সুপারভাইজার প্রথমে এক শিক্ষার্থীকে লাথি মারেন। পরে একটা লাঠি বের করে শিক্ষার্থীদের এলোপাতাড়ি মারধর করে পালিয়ে যান। এরপর জাহাজটি টেকনাফ জেটিঘাটে এসে পৌঁছালে শিক্ষার্থীদের উপর ২য় দফায় হামলা হয়।
এসময় তাদেরকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরে মারধর করেন জাহাজের স্টাফ এবং আশেপাশের লোকেরা। পরবর্তিতে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, সেন্ট মার্টিনের ঘটনা শোনার পরপরই স্পটে আমাদের ফোর্স গেছে। চবির ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা থানায় এসেছেন। আমরা বিস্তারিত শুনছি। শুনে ব্যবস্থা নেবো।