সুলভমূল্যে মিলছে না প্রাণিজ আামিষ

16

এম এ হোসাইন

প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উপাদান মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্য মিলছে না সুলভ মূল্যে। বাজারে উচ্চমূল্যের কারণে এসব আমিষের উপাদানগুলো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। মূল্য স্থিতিশীল রাখতে রমজানে এসব পণ্য ভ্রাম্যমাণভাবে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। রমজানজুড়ে ঢাকায় ১০টি স্থানে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। যেখানে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস ক্রয় করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। ঢাকায় কার্যক্রমটি নেয়া হলেও চট্টগ্রামে নেয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। যদিও গতবছর করোনাকালীন চট্টগ্রামে প্রাণিসম্পদ বিভাগ ভ্রাম্যমাণ কার্যক্রম পরিচালিত করে প্রসংশিত হয়েছিল।
গরুর মাংস, খাসির মাংস, দুধ ও ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও সাপ্লাই চেইন সচল রেখে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে রমজান মাসে জনসাধারণের মাঝে এসব পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মানুষ যেন সহজেই প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে সে লক্ষ্যে ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারী ও সাপ্লাই চেইন সংশ্লিষ্ট সকলকে সঙ্গে নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ ভ্রাম্যমাণ বিপণন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে করে টিসিবির পণ্যের মতো এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। প্রতিটি ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে পাস্তুরিত তরল দুধ প্রতি লিটার ৬০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২০০ টাকা এবং ডিম প্রতি হালি ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা করোনার সময় ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে দুধ, মাংস, ডিম এসব বিক্রি করেছিলাম। ভালো সাড়াও পেয়েছিলাম। রমজান উপলক্ষে ঢাকায় আমাদের একটি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামে কার্যক্রমটি পরিচালনার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত আসেনি। যদি ঢাকা থেকে নির্দেশনা আসে, তাহলে আমরা এখনেও কার্যক্রম পরিচালনা করবো।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রমজানে প্রাণিজ আমিষের উপাদানগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেশি দাম বা ভেজাল হচ্ছে কিনা সেটা প্রশাসনসহ জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তদারকি হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে আমাদের লোকবল ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা প্রদান করে।
করোনাকালীন মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতকরণে দৈনিক ৪০ হাজার পিস ডিম ও ৪০ টন দুধ বিক্রি করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। কৃষকদের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে এ প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উপাদানগুলো বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়া গরুর মাংস, ব্রয়লার মুরগি ও খাসির মাংসও বিক্রি করা হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ এই ট্রাকে। মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্যের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল তখন। তবে অল্প কয়েকদিন স্থায়ী ছিল এই কার্যক্রম। তখন ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রমে প্রতিলিটার দুধ ৬০ টাকা, প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা, প্রতিটি ডিম ৬ টাকা, ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১১৬ টাকা এবং প্রতিকেজি খাসির মাংস ৭০০/৭৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়েছিল।