সীমান্তে আবারো মর্টার শেলের গোলা, কেঁপে উঠলো তুমব্রু

9

বান্দরবান প্রতিনিধি

১৬ দিন বিরতি দিয়ে আবারো ৪টি মর্টার শেলের গোলায় কেঁপে উঠেছে বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী তুমব্রু বাজার ও আশপাশের ১৩টি গ্রাম। তুমব্রু বাজার ব্যবসায়ীরা জানান, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সেনা ও বিদ্রোহী গ্রুপের মাঝে চলমান দীর্ঘদিনের সংঘর্ষের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত পিলার ৪১, ৪০, ৩৯, ৩৮, ৩৭, ৩৬, ৩৫, ৩৪ এবং ৩১ এলাকায় সেদেশের বিজিপি ও বিদ্রোহী আরকান আর্মির মধ্যে প্রচন্ড সংঘর্ষ চলছে। এতে প্রচুর পরিমাণ ভারী অস্ত্র মর্টার শেল ও সামরিক হেলিকপ্টার-ফাইটার বিমান থেকে বৃষ্টির মত গোলা বর্ষণ করা হচ্ছে।
গত ১৬ দিন সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও রবিবার (গতকাল) আবারো গোলাগুলির শব্দে আতংকিত হয়ে উঠেন এলাকাবাসাী। তুমব্রু এলাকার ব্যবসায়ী আবদুল কাদের, গ্রাম পুলিশ আবদুল জাব্বার জানান, প্রায় ১৬ দিন পর রবিবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় হঠাৎ সীমান্ত পিলার ৩৪ সংলগ্ন মিয়ানমারের তুমব্রু রাইট বিজিপি ক্যাম্প থেকে পর পর ৪টি ভারী অস্ত্রের মর্টার শেল ফায়ার করলে বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু ও বাইশফাঁড়ি এলাকার ১৩টি গ্রাম ভূমিকম্পের মতো কেঁপে উঠে। ফলে সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশের লোকজনের মাঝে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ঘুমধুম ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, হঠাৎ মর্টারশেলের আওয়াজে আমাদের ইউপি কার্যালয় যেন ভেঙ্গে পড়ছিল। এলাকার লোকজনের মাঝে মর্টারশেলের প্রচন্ড শব্দে চরম আতঙ্ক দেখা দেয়। মর্টারশেলের আওয়াজের খবরটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌসকে জানানো হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌস জানান, ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মর্টারশেলের আওয়াজের কথা শুনেছি। সীমান্তে বসবাসরত সকলকে নিরাপদে চলাফেরা করার জন্য আমরা পরামর্শ দিয়েছি।
এদিকে ৩৪ বিজিবির একটি সূত্র জানায়, তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তাদের সদস্য সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। টহল জোরদার করা হয়েছে। যেন কোনো নতুন রোহিঙ্গা দেশে ঢুকতে না পারে কিংবা কোনো ধরণের ক্ষয়ক্ষতি যেনো না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।