সীতাকুন্ড সরকারি হাসপাতাল ১২ ঘণ্টায় ১০ নবজাতকের জন্ম

8

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

নরমাল ডেলিভারীতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক ঝাঁক চিকিৎসক ও নার্স। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নুর উদ্দিনের তত্বাবধানে গত রবিবার রাত থেকে গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত ১২ ঘন্টায় ফুটফুটে ১০ শিশু জন্মগ্রহণ করেছে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় (নরমাল ডেলিভারি)। সদ্যোজাত সব শিশুই সুস্থ রয়েছে, সুস্থ রয়েছেন জন্ম দেয়া মায়েরাও। শিশু জন্মদানে সিজারিয়ান পদ্ধতিকে বেছে নেয়ার প্রবণতার এই সময়ে কোনো ধরনের অপারেশন ছাড়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শিশুর জন্মদানকে উৎসাহিত করতে সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এই প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শিশু জন্ম দেয়া মায়েরা হচ্ছেন সীতাকুÐ উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বগাচতর এলাকার সাইফুল রহমানের স্ত্রী শিরিন আক্তার (১৯), কেদারখীল এলাকার জনি দাশের স্ত্রী রিংকু দাশ (১৯), কুমিরা ইউনিয়নের মো. ফিরকনের স্ত্রী জেরিন আক্তার (২৫), বারৈয়ারঢালা ফেদাইনগর এলাকার সালমা (২৩), মিরসরাই উপজেলার পূর্ব সাহের খালীর মনোয়ারা বেগম (৩০)। বাকীদের পরিচয় জানা যায়নি।
নিরাপদ প্রসবের এই কাজে নেতৃত্বে ছিলেন ডা. নাহিদা আক্তার। তাঁর সহকারী হিসেবে ছিলেন গাইনী অ্যান্ড অব্স বিশেষজ্ঞ ডা. আইরিন চৌধুরী।
সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নুর উদ্দিন বলেন, ‘আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করার পর থেকে চেষ্টা করেছি হাসপাতালে সেবার মান বৃদ্ধি করার। কেউ যাতে আগের মত ‘সরকারি হাসপাতালে কি চিকিৎসা’- এটা বলে অবহেলা করতে না পারে। আমাদের প্রচেষ্টা থাকে সিজার না করিয়ে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যাতে শিশু পৃথিবীর মুখ দেখে। তিনি বলেন, আমরা গত ১২ ঘন্টায় ১০টি সুস্থ নবজাতকের জন্মদানে প্রসূতি মায়ের পাশে ছিলাম। নরমাল ডেলিভারির এই শিশুগুলো কিন্তু খুবই ভালো আছে, তাদের জন্মধাত্রী মায়েরাও সুস্থ আছেন।
তিনি বলেন, গত ৫ মাসে আমরা অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ৩৬ জন মাকে সিজারিয়ানের মাধ্যমে শিশুর প্রসব করিয়েছি। আমরা চাই না কোনো সিজার হোক। প্রচেষ্টা থাকে নরমাল ডেলিভারির। আর সেটিই আমরা করেছি গত ১২ ঘন্টায়। একইভাবে প্রতিমাসে ১০০ থেকে ১৩০ জন প্রসূতি মাকে নিরাপদ প্রসবে আমরা কাজ করছি। পাশাপাশি আমরা রোগী ও নবজাতক শিশুদের পরিচর্যায় বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। শুরু থেকে সুস্থ হওয়া পর্যন্ত ওষুধপত্র সরকারিভাবে দেওয়া হচ্ছে। শতভাগ চেষ্টা করছি সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি হাসপাতালের সেবা পৌঁছে দিতে।