সাবেক কাউন্সিলর মানিক ও তার স্ত্রীর দুদকের মামলা

40

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে একদিনেই দুর্নীতি দমন কমিশনের তরফে দায়ের হল তিন মামলা। এর মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের লালখান বাজার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল ফজল কবির আহমেদ মানিক ও তার স্ত্রী তাহেরা কবির আহমেদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে পৃথক মামলা। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগ আনা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ পরিচালক মো. আবু সাইদ বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপ পরিচালক মো. আবু সাইদ। এর আগে ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর সাবেক এই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে লালখান বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের দোকান বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে দোকান প্রত্যাশীদের কাছ থেকে ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ, লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত নকশা ছাড়া মার্কেট নির্মাণ, দোকান বিক্রি ও দোকানে ভাড়ার অর্থ স্কুল ফান্ডে জমা না দিয়ে ২৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ এবং জাগো ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থার সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনৈতিক চুক্তির মাধ্যমে সরকারি জমির দখল হস্তান্তর করে ২৮ লাখ ১১ হাজার টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করে দুদক। অভিযুক্ত আবুল ফজল কবির আহমেদ মানিক নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানার দত্তপাড়ার মকবুল আহমেদের পুত্র। বর্তমানে খুলশী থানার লালখান বাজার ২৩৪, সামছি কলোনিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
এদিকে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) ঠিকাদার, টেকনিশিয়ান ও দালালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
একইদিনে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক মো. আবু সাইদ বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আনা হয়। অভিযুক্তরা হলেন, কর্ণফুলী গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের টেকনিশিয়ান (গ্রেড-১) মো. মুছা খালেদ (৫৫), পটিয়ার মৃত আবু বকরের ছেলে ঠিকাদার মো. এরশাদ এবং বায়েজিদ বোস্তামীর মোহাম্মদ নগরের মৌসুমি মায়ের কলোনির মৃত বাবু সরকারের ছেলে মো. বশির সরকার। জানা যায়, কেজিডিসিএলের লোকমান নামে এক গ্রাহকের গ্যাস লাইনের ত্রæটি সারাতে ঘুষ দাবি করেন মুছা খালেদ, এরশাদ ও বশির। পরে বাধ্য হয়ে তাদের ঘুষ দেন লোকমান। এ বিষয়ে অভিযোগ করলে যাচাই করে সত্যতা পায় দুদক।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ঘুষ গ্রহণের অপরাধে ১৬১, ১০৯, ১২০ (বি), ৫১১ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা অভিযোগ আনা হয়েছে।