সাতকানিয়া-বাঁশখালী সড়কে সেতুর নিচে লাশ

15

সাতকানিয়া প্রতিনিধি

বাঁশখালী থেকে নিখোঁজ হওয়া এক ট্রাক হেলপারের লাশ সাতকানিয়া থেকে উদ্ধার করেছে দমকল বাহিনী ও পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় সাতকানিয়া-বাঁশখালী সড়কের সাতকানিয়া রাস্তার মাথার এক কিলোমিটার পশ্চিমে হাদুর ব্রিজের নিচ থেকে পলিথিন দিয়ে চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে সুরতহাল শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণের প্রস্তুতি নেয় পুলিশ। সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল বিকাল পাঁচটায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সাতকানিয়া থানার এএসআই সাখাওয়াত হোসেন জানান, খবর পেয়ে সাতকানিয়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় ব্রিজের নিচ থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার নাম বেলাল উদ্দীন (১৫)। সে বাঁশখালী উপজেলার কালিপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পূর্ব জঙ্গল কোকদন্ডী এলাকার নুরুল আমিনের পুত্র। সে একটি মিনি ট্রাকের হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিল।
নিহত বেলাল উদ্দিনের ফুফাতো ভাই আব্দুল মান্নান জানান, নিহত বেলাল একই এলাকার রফিকুর রহমানের পুত্র আব্দুল লতিফের অধীনে একটি মিনি ট্রাকের হেল্পার হিসেবে কর্মরত ছিল। গত বুধবার রাতে কালীপুরস্থ বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজের পাশে আদর্শ গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় একটি মাঠে ট্রাকটি ছিল। আর সেই গাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিল বেলাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গাড়িটি ঐ স্থানে না দেখে চালক ও মালিক মিলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোন সন্ধান না পেয়ে বাঁশখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে বিকালে সাতকানিয়ায় একটি ব্রিজের নিচে বেলালের লাশ পাওয়ার খবর পেয়ে স্বজনরা ঘটনাস্থলে আসে। কোন সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী বেলালকে হত্যা করে গাড়িটি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, কিশোরের লাশ পাওয়ার সংবাদ শুনেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে।
নিহত বেলালের আত্মীয় আব্দুল মান্নান বলেন, বেলাল উদ্দিন মা-বাবার একমাত্র ছেলে। তার দুটি বোন রয়েছে। পরিবারে সচ্ছ¡লতা আনতেই মূলত কিশোর বয়সে সে গাড়ির হেলপারের চাকরি নেয়।
গাড়ির চালক আব্দুল লতিফ জানান, প্রতিদিন গাড়ি ঐ স্থানেই রাখি। আর গাড়িতে বেলাল থাকে। বুধবার রাতেও আগের নিয়মে গাড়ি রাখা হয়। আর গাড়িতে বেলাল ঘুমিয়ে যায়। কিন্তু সকালে গাড়ি না পেয়ে আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করি। না পেয়ে বাঁশখালী থানায় অভিযোগ দিই। কিন্তু পরে সাতকানিয়ায় বেলালের লাশ উদ্ধারের খবর পাই। এখনো পর্যন্ত গাড়ির কোন সন্ধান পাইনি। তোন ছিনতাইকারী চক্র গাড়িটি ছিনতাই করে নিতে গিয়ে বেলালকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে বলে আমাদের ধারণা।