সাতকানিয়ায় ৩৪০টি মাল্টা গাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ

6

সাতকানিয়া প্রতিনিধি

সাতকানিয়ায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে এক অসহায় ফলজ বাগান মালিকের ৩৪০টি মাল্টা গাছ উপড়ে নষ্ট করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৪ এপ্রিল দিবাগত রাতে উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের জমাদার পাড়ার পাহাড়ি এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্ত ওই বাগান মালিকের নাম আবদুস শুক্কুর (৪৩)। তিনি ঐ এলাকার মৃত খুইল্লা মিয়ার ছেলে। উক্ত ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শুক্কুর সুনির্দিষ্ট ৪ জন ও অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে অভিযুক্ত করে সাতকানিয়া থানায় গত ১৭ এপ্রিল অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত হলেন, সোনাকানিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন, ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি মোক্তার আহমদ(৪৮), মো. দেলোয়ার হোসেন (৩৫)ও চেয়ারম্যানের পিএস খ্যাত মো. ওসমান (৩৬)।
থানার অভিযোগে জানাযায়, সোনাকানিয়া ইউনিয়নের অসহায় কৃষক আবদুস শুক্কুর নিজ বাড়ি এলাকার পশ্চিম পাশে প্রায় সাড়ে ৩ কানি পাহাড়ী সরকারি খাস জমিতে ৩ বৎসর আগে সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত ৩০০টি মালটা ফলের চারাসহ নিজস্ব অর্থায়নে আরো ১০০টি মালটা ফলের গাছের চারা উক্ত জমিতে রোপণ করেন। ওই বাগানে একক ফল বাগান প্রদর্শনী নামীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,সাতকানিয়া, সম্বলিত ১টি সাইন বোর্ড স্থাপনও করে। বিগত ১ বৎসর যাবৎ উল্লেখিত অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ শুক্কুরকে ভোগদখলীয় সরকারি খাস জমিতে স্থিত মালটা ফলের বাগানটি জোরপূর্বক দখল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাছাড়া অভিযুক্তরা প্রায় সময় শুক্কুরকে তার মালটা ফলের বাগানটি অভিযুক্তদের নিকট হস্তান্তর করার জন্য বলেন। অভিযুক্তদের কথায় রাজী না হওয়ায় তারা শুক্কুরকে অসংখ্যবার অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি প্রদান করেছিল।
জানতে চাইলে সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের জমাদার পাড়ার সমাজ সেবক ফরহাদ হোসাইন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মাল্টাচাষী আবদুস শুক্কুর খুবই অভাবী লোক।
এবিষয়ে উপজেলার সোনাকানিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন জানান, জায়গাটি সরকারি খাস জমি, এখানে কোন মাল্টা গাছ ছিল না। এটা সরকারি খেলার মাঠের জন্য কানুনগো এসে কয়েকবার সার্ভে করে গেছেন।
উপজেলার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. মুস্তফিজুর রহমান মাল্টা বাগানের ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে জানান, খবরটি শুনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বাগানের অনেকগুলো মাল্টা গাছ উপড়ে ফেলেছে। যা খুবই দু:খজনক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, মাল্টা বাগানের গাছ নষ্ট করার বিষয়টি খবর পাওয়ার সাথে সাথে সরেজমিন তদন্তে পাঠিয়ে খবর নিয়ছি।চারা গাছ উপড়ে ফেলার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। তাছাড়া উক্ত বিষয়ে ইউএনও স্যারের নিকটও একটি অভিযোগ আছে। ইউএনও স্যারের দিকনির্দেশনার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।