সংকটে রাজনীতি ও নির্বাচন : প্রাসঙ্গিক আলোচনা

11

 

শিক্ষিত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে রাজনীতি ও নির্বাচনকে অপতৎপরতার সংকটজাল হতে মুক্ত করা এখনই জরুরি হয়ে উঠেছে। যাতে সুষ্ঠুধারার গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুনিশ্চিত হয়। এতে জাতিসংঘের ইউনেস্কো কমিশনের দেয়া, শিক্ষিত সমাজ গড়ার পূর্বশর্ত, গণতান্ত্রিক সমাজ, এই শর্তটি পূরণ করা যায়। আর এতে প্রকৃত শিক্ষিত সমাজ গঠন সম্ভব হবে। শিক্ষিত সমাজ গঠন ছাড়া এসডিজি অর্জন বলুন, রূপকল্প ভিশন-২০৪১বলুন, অর্থবহ অর্জন সম্ভব না।
চলমান ইউপি নির্বাচন প্রক্রিয়ার নানা অপতৎপরতা, সেই শর্ত পূরণের বাধা হয়ে উঠতে পারে। স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে মূল্যবোধ ও সাম্যতার সংকট ও বিপর্যয় স্বাধীনতার পর আর এমন দেখা যায়নি বলে বিজ্ঞজনরা মত দিয়ে যাচ্ছেন। সংকট এমন চড়াও হয়ে উঠেছে যে এখন নির্বাচন মানে কেউ কেউ অবৈধ ক্ষমতা ও আয়ের ছাড়পত্র পাওয়ার প্রক্রিয়া মনে করতে পারে। তা ছয় ধাপের চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদের ১ম হতে ৫ম ধাপের নির্বাচনের ঘটনা প্রবাহ থেকে ধারণা জন্মাতে পারে। আগামী ৫ জানুয়ারি ৬ষ্ঠ ধাপের নির্বাচন হতে হয়ত তা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারে। এধরনের নির্বাচনের নানা অনিয়মকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া অপতৎপরতায় ও ঘটনায় মানুষ ক্রমান্বয়ে রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে এবং অনেকে রাজনীতিকে এড়িয়ে চলতে বা ঘৃণা করতে শুরু করেছে। অথচ রাজনীতি হচ্ছে দেশ, রাষ্ট্র ও সমাজের চালিকাশক্তি। নির্বাচন হল সেই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় দেশ গড়ার একটি ধাপ মাত্র। আর রাজনৈতিক প্রক্রিয়াটি হল একটি শিল্পকলা। যে শিল্পকলার চর্চার মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার প্রত্যেকের মধ্যে যোগ্য মানসিকতা গড়ে উঠে। সেই শিল্পকলাকে চর্চা করতে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকেও শিল্পী হয়ে উঠতে হয়। যে শিল্পী-নেতা আগামী দিনের একটি সুন্দর সমাজের ছবি আঁকেন, সেই সুন্দর সমাজের রূপ দিতে নিজের সক্রিয়তার ভিতর দিয়ে অপরকেও সক্রিয় করে তোলেন। যাতে ঘুণে ধরা সমাজ ভেঙে একটি শান্তিময় গণতান্ত্রিক সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যায়। এর জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিটি তার শিল্পকর্ম বা আদর্শের পক্ষে ব্যাপক মানুষের সম্মতি ও সমর্থন আদায়ে সচেষ্ট থাকেন, প্রচারণা চলান। রাজনৈতিক সেই নেতার আদর্শ নিষ্ঠায় প্রভাবিত হয়ে মানুষ তাঁর উপর আস্তা আনে ও তাঁকে অনুসরণ করতে থাকে। এতে তাঁর মনন শিল্পীর তুলিতে আদর্শ সমাজটি, রাষ্ট্রটি গড়ে উঠতে থাকে। এখানে বস্তুগত সম্পদের চেয়ে ভাবগত আদর্শ ও রাজনৈতিক ব্যক্তির শৈল্পিক দক্ষতা বেশি জরুরি। যেমন সেই দক্ষতাটির শৈল্পিক ও ঐতিহাসিক রূপটি দেখাতে পেরেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যাঁর মনন শক্তিতে ও শিল্পীর সংগ্রামী তুলির আঁছড়ে বাংলাদেশ নামের দেশটির আত্মপ্রকাশ ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু হায় ! এখন সেই ধারার রাজনৈতিক নেতারা কোথায়, সংখ্যায় কমে যাচ্ছে, তলিয়ে যাচ্ছে। কমে বা তলিয়ে যাবে তো। তা না হওয়ার জন্য, গুণগত আদর্শিক যে সমাজ দরকার হয় সে রকম সমাজের নিশ্চয়তা আমাদের রাষ্ট্র দিতে পারছে না। আমরা সে ধরনের সমাজ গড়ে তোলতে পারছি না।বিশেষ করে ৭৫এর ১৫ আগস্টে জাতি বিকাশের অগ্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কে সপরিবারে হত্যার পরবর্তীতে সময় থেকে।
সমাজমুখী আদর্শ নেতারা গড়ে উঠেন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায়। যে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, নাগরিক অধিকার, গতিশীল প্রশাসনিক-প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো, আইন প্রণয়ণ ও প্রয়োগে দেশ পরিচালনার সুষ্ঠু ধারা ও পরিবেশ নিশ্চিত করে। সেই রাজনৈতিক পরিবেশ যদি ব্যক্তির অদক্ষতায় ও ব্যক্তির কায়েমি স্বার্থের জন্য নষ্ট করে ফেলা হয়, তাকে অবৈধ ক্ষমতা আর আয়ের সিঁড়ি বানিয়ে ফেলা হয় তা হলে সেই রাজনীতি থেকে সাধারণ মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে তার জন্য আমজনতাকে দায়ী করা যায় না। সেটার জন্য সমাজকে এগিয়ে নেয়ার হাতিয়ার রাজনীতিকে নয়, রাজনীতিকে যারা দূষিত করে যাচ্ছে তাদেরকে ঘৃণা করা উচিত, তাদেরকে দমন করা উচিত। সেই দমনের অন্যতম হাতিয়ার হল গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সুষ্ঠু নির্বাচন । গণতান্ত্রিক পরিবেশ হল সমাজমুখী নেতা গড়ে উঠার মানসভূমি,শিক্ষিত সমাজ গড়ে উঠার ইউনেস্কোর দেয়া পূর্ব শর্ত। আর সেই নেতাকে মূল্যায়ন করার ও মর্যাদা দেয়ার মাধ্যম হল সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরা সেই সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়কে গুরুত্ব না দিয়ে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতি থেকে নিজেরা দূরে থাকতে চাই প্রজন্মদেরকে দূরে থাকতে উৎসাহিত করি। অথচ সেই রাজনীতি মানুষের সামগ্রিক জীবন ও সমাজকে পরিচালিত করে, এগিয়ে নিয়ে যায়। আমাদের চেতনার এই যদি অবস্থা হয়, সমাজ ও রাষ্ট্র এগিয়ে যাবে কি করে। আর এগুতে না পারলে রাষ্ট্রে ও সমাজে তো স্থবিরতা নেমে আসে। আর স্থবিরতায় সমাজ-রাষ্ট্র প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে উঠে, সে প্রতিক্রিয়াশীলতায় সমাজ ও রাষ্ট্র উৎকর্ষের মানে এবং মেধা-মননে পিছিয়ে যায়। অন্য কথায় পিছনে হাঁটতে শুরু করে রাষ্ট্র। প্রতিক্রিয়াশীলতায় পিছিয়ে যাওয়া রাষ্ট্রের উদাহরণ তো আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলোর দিকে তাকালে বোঝা যায়। সেই প্রতিক্রিয়াশীল পথ থেকে মুক্ত হওয়ার, প্রগতিশীল তথা সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার উপায় বা পথ কী,তার ব্যাপারে নানা বক্তব্যে নানা জন বিভিন্ন মতামত দিয়ে যাচ্ছেন। এগুলোর প্রায় সংখ্যক মতামতগুলো ম্যালেরিয়া রোগের জীবানুবাহী মশকী ও সেই মশকীর বংশবৃদ্ধির আস্তানা বা পরিবেশ নিধন না করে, ম্যালেরিয়া রোগীরই চিকিৎসা করার মত মতামত। সেই সব মতামতে ম্যালেরিয়া রোগীকে হয়ত বাঁচানো যেতে পারে, কিন্তু ম্যালেরিয়া রোগ থেকে অন্যান্য মানুষ রেহায় পাবে না। তার জন্য নাগরিক সচেতনতায় দায়িত্বশীল শক্তিশালী নাগরিক জোট গড়ে তোলা জরুরি। যাতে ম্যালেরিয়া জীবাণুবাহী মশকী উৎপাদনের আস্তানা নির্মূল করা যায়, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়। সাধারণ মানুষ তা থেকে রক্ষা পায়।
সে ক্ষেত্রে সচেতন মহল এখন নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ হতে নির্বাচন কমিশন ও তার গঠন প্রক্রিয়াকে গুরুত্ব দেয়ার কথা বলছেন। আমরা নির্বাচন কমিশনকে এতে শুধু নির্বাচন পরিচালনায় সীমাবদ্ধ রাখার কথাই ভেবে যাচ্ছি । কিন্তু নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য তার কার্যক্রমের গুনগত বিস্তৃতির কথা ভাবি না। যেমন, ভোটারদের মানসিকতার উৎকর্ষের জন্য নির্বাচন কমিশন সারা বছর পরিকল্পিতভাবে নানা কাজ করতে পারে। নাগরিকদের দায়দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই তাদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়, সেই বিষয়ে সচেতন করতে নির্বাচন কমিশন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়ে, তা সারা বছর ধরে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করে যেতে পারে। দায় নেয়া ও দায়িত্ব পালন ছাড়া রাষ্ট্রের ও সমাজের উপর ব্যক্তির অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয় না তা হৃদয়ঙ্গম করানোর জন্যও কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারে। সুনাগরিক হতে হলে ভোটারকে বুঝতে হবে, সুনাগরিক হওয়ার পথ বা উপায় কী ? তার দায়িত্ব কী? ভোট ব্যবস্থা কী এবং কেন? ভোটে নাগরিকের করণীয় কী? ভোট দিতে না গেলে সমাজে কী কী অবক্ষয় শুরু হয়। আর ভোট দেয়ায় তথা নেতা নির্বাচনে ভুল করলে কী কী ক্ষতি হতে পারে, তা ছাড়া জনগণের ভোটের ক্ষমতায় ক্ষমতা লিপ্সু কায়েমি স্বার্থান্বেষী নেতাকে পরিবর্তন ঘটায়ে অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে ইত্যাদির গুরুত্ব বা ওজন বোঝানোর ও তা সব চর্চা করানোর দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন নিতে পারে। এতে সুষ্ঠুধারার গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ে উঠার পরিবেশ নিশ্চিত হতে পারে। আর তা নিশ্চিত করা গেলেই জাতি সংঘের ইউনেস্কো কমিশনের দেয়া শর্ত, শিক্ষিত সমাজ গড়ে তোলতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ জরুরি, সে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও মানসিকতা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
কিন্তু রাষ্ট্র যখন সমাজের উপর চড়াও হয়ে উঠে, আদর্শ সমাজ গঠনের কাঠামো তখন দুর্বল হয়ে পড়ে, সেই সময় কায়েমী স্বার্থবাদী লোকেরা অবৈধ পথে ক্ষমতা অর্জন ও অর্থ আয়ের পথ সহজে করে নিতে পারে। সেই অবস্থায় মানুষের বাছবিচার ক্ষমতা রাহুগ্রস্ত হয়, মানুষের বিবেককে রাহু সহজে গ্রাস করে নিতে পারে। নাগরিক দায়িত্ব পালন ও আদর্শকে মহিমান্বিত করার শক্তি ও ক্ষমতা মানুষ তখন হারিয়ে ফেলতে পারে। কেন হারিয়ে ফেলতে পারে সে প্রশ্ন জোরালো ভাবে সামনে আনা প্রয়োজন।
বাছবিচার করার ও আদর্শের পথে লড়াই করার মানসিকতা মানুষ তখন কেন হারিয়ে ফেলে তা তলিয়ে দেখা দরকার। হারিয়ে ফেলে এই জন্য যে মানুষ গণতান্ত্রিক পরিবেশে থাকতে না পারলে তার মানবিকতার বিকাশ লাভ হতে পারে না, সমাজ বিমুখ হয়ে পড়ে, আর সমাজ বিমুখ মানুষ এক সময় নিজকে সমাজ বিচ্ছিন্ন ভাবতে শুরু করে। তখন তার মানবিক চিন্তাপ্রবাহে নানা বিকার দেখা যায়। তাতে সে আর অপরকে নিয়ে ভাবার, সমাজকে নিয়ে ভাবার প্রয়োজন আছে, তা অনুধাবন করতে পারে না। তখন সে একা ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তখন তার ভেতরের বাছবিচার ও আদর্শে জেগে উঠার যে শক্তি থাকে তাতে ক্ষয় ধরে বলে সে আদর্শের লড়াইয়ে, বাছবিচারের লড়াইয়ে শক্তি খোঁজে পায় না। ফলে সে মানুষ ও পশুর মধ্যে যে পার্থক্যরেখা আছে তা ক্রমে সংকুচিত হতে থাকে। এ ধরনের মানুষদের সমাজে, যাই হউক না কেন, তাতে গোলমাল বেঁধে যাবে। তাতে আর শিক্ষা আর শিক্ষার মত কার্যকর হয়ে উঠতে পারে না। যার জন্য আমরা শিক্ষিত হলেও আমরা শিক্ষিতরা এক ধরণের নিষ্ক্রিয়তার বলয়ে পড়ে থাকি, তাতে সমাজে নেমে আসে স্থবিরতা। তখন নানা প্যারামিটার বা সূচকে সমাজ ও রাষ্ট্র পিছিয়ে যায়। এ অবস্থায় অনেকের মধ্যে জগত খ্যাত উপন্যাস ‘ডঃ জেকিল এন্ড মি, হাইডস’ গল্পের খল নায়ক মিঃ হাইডস এর পাশবিক ও বিমানবিকতার নানা আচরণ সমাজবিমুখ মানুষের এর মধ্যে প্রকাশ ঘটতে থাকে। যার জন্য বুয়েট এর মেধাবী ছাত্র আবরারকে তারই মেধাবী সহপাঠীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাকে পিটায়ে মেরে ফেলতে পারে। মেজর সিনহাকে আইনের লোকেরা বিভৎসভাবে খুন করতে পারে। অন্যদিকে পাপিয়া, মুনিয়ারা সমাজের কীটরূপে গড়ে উঠতে থাকে। আমাদের মা বোনদের ভোগ্যপণ্য বানিয়ে চলে সেই খলনায়কদের হাইডসরা। এদের আধিপত্যে সমাজ বিনষ্ট হয়, রাজনীতি দূষিত হয়। আর তা হলে, দূষিত সমাজে ঘোম খুন, ধর্ষণ, চুরি ডাকাতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ইত্যাদি অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে।
রাষ্ট্র তখন তার আদর্শের জায়গাটা ও ক্ষমতার সীমারেখাটা নিশ্চিত করতে পারে না, আর সমাজ কাঠামো দুর্বল হয়ে যায়। সমাজ ও রাষ্ট্রের এই অবস্থা থেকে নির্বাচন কমিশনকেও মুক্ত করতে হবে। এর ইতিবাচক ভূমিকাকে জোরালো করতে ও কাজের বিস্তৃতি ঘটাতে পারার মত সক্ষমতা অর্জন করাতে হবে।
সুঅভ্যাস ও ভাল মানসিকতা এমনে এমনে গড়ে উঠে না। তা সব চর্চা করায়ে বা করে অর্জন করতে হয়। এই সব চর্চা করার পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারে গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা। যার জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পাশাপাশি সুনাগরিক হয়ে উঠার নানা দায়িত্ব পালন করার সুযোগ করে দিতে হবে। এতে রাজনীতি ও নির্বাচনকে নানা অপতৎপরতার সংকটজাল হতে রক্ষা করা যাবে। এতেই গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুনিশ্চিত হবে। তাতে সক্রিয় শিক্ষিত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। আর শিক্ষিত সমাজই পারে প্রকৃত সুষম উন্নয়নকে ধারণ করতে ও বহন করতে।
আগামী ৫ জানুয়ারি ৬ষ্ঠ বা শেষ ধাপের স্থানীয় ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।আমাদের প্রত্যেককেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সমাজমুখী ও প্রকৃত জনপ্রতিনিধিকে নির্বাচন করা উচিত। যাতে রাজনীতি ও নির্বাচনকে সংকটজাল হতে মুক্ত করার পথ প্রশস্ত হয়,যাতে গণতান্ত্রিক পরিবেশে সক্রিয় শিক্ষিত সজ্জনদের সমাজ গড়ে উঠতে পারে । সুন্দর ভবিষ্যতের স্বার্থে,প্রজন্মদের স্বার্থে।

লেখক : শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক