ষষ্ঠ দফা সাক্ষ্য শেষ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১৫-১৭ নভেম্বর

8

কক্সবাজার প্রতিনিধি

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ষষ্ট দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শেষ হয়েছে। সকাল সাড়ে দশটায় এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে শুরু হয়। আদালত মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ১৫, ১৬ ও ১৭ নভেম্বর ধার্য্য করেন।
আদালতের বিচারিক কার্যক্রমের শুরুতে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ তার জবানবন্দিতে জানান, সিনহা হত্যা মামলার ৯ জন আসামি তার আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি দেয়ার আগে সকল আসামিকে তিনঘণ্টা সময় দেয়া হয়েছিল। তারপর তারা স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেন। একই ধরনের সাক্ষ্য দেন আরেক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। জবানবন্দিতে তিনি জানান, সিনহা হত্যা মামলার তিন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেছিলেন তিনি। তারাও তিনঘণ্টা সময় নিয়ে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
আদালতের কার্যক্রম শেষে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানান রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম। তিনি জানান, মামলার পরবর্তী সাক্ষগ্রহণের তারিখ আগামী ১৫, ১৬ ও ১৭ নভেম্বর ধার্য্য করেন।
অপরদিকে, আসামি বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপের পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত জানান, এই মামলার ১২ জন আসামিকেই চাপে ফেলে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে গিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়েছেন। তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। তাই তারা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছেন। তিনি আরও জানান, তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে আসামি ওসি প্রদীপকেও মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চাপ দিয়েছিলেন, কিন্তু ওসি প্রদীপ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। কারণ তিনি সিনহা হত্যা মামলায় জড়িত ছিলেন না।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ওসি প্রদীপসহ এই মামলার ১৫ জন আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আদালতে নিয়ে আসা হয়। গতকাল মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রমে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সাক্ষগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।