শিগগিরই বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বসতে যাচ্ছে বিএনপি

16

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনসহ সামগ্রিক রাজনৈতিক ইস্যুতে শিগগিরই বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সম্ভাব্য এই মতবিনিময় আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে বলে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এটা আমরা দ্রæতই শুরু করবো। আমাদের এ বিষয়ক বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত জানাবো।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, ভবিষ্যতের প্রশ্নে পরিবর্তনের প্রতিশ্রæতি নিয়ে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে দলীয় অবস্থান তুলে ধরতে এবং সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক ইস্যুতে তাদের মনোভাব জানতে চায় বিএনপি। এ কারণে গত ৩ জানুয়ারি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নেয় দলের নীতিনির্ধারকরা।
স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জানান, রাতে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সম্ভাব্য আলোচনার রূপরেখা তৈরি করতে বিশেষ ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এর মধ্য দিয়েই মতবিনিময়ের জন্য দিনক্ষণ চূড়ান্ত করবেন তারা।
একাধিক বিরোধী দলের প্রধান জানান, তাদের সঙ্গে প্রাথমিক আলাপকালে বিএনপির প্রভাবশালী নেতারা জানিয়েছেন, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ বা ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দলটির নেতারা মতবিনিময়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
দলীয় নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবি, ইতোমধ্যে মতবিনিময়ের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করেছে বিএনপি। স্থায়ী কমিটির সদস্যরাই মতবিনিময়ে নেতৃত্ব দেবেন। এক্ষেত্রে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার জন্য স্থায়ী কমিটির সদস্যদের পৃথকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
দলের দায়িত্বশীল নেতাদের কেউ-কেউ জানিয়েছেন, মতবিনিময়ের জন্য সুনির্দিষ্ট দলগুলোর সঙ্গে প্রাক-আলোচনা করেই বিএনপির প্রতিনিধি দল যাবে। এক্ষেত্রে ডান, বাম ঘরানার দলগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
মতবিনিময়ের দিনক্ষণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনও সুনির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করিনি। আর মতবিনিময়গুলো আমরা জনসম্মুখে জানিয়েই করবো।
দলীয় সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে যারা যারা নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশগ্রহণ করেনি, সেসব দলকে ধন্যবাদ জানাতে চায় বিএনপি।
বিএনপির প্রভাবশালী একজন দায়িত্বশীল নেতা জানান, রাজনৈতিকভাবে গুণগত পরিবর্তনের বিষয়টিকে বিএনপিকে কীভাবে দেখছে সেই বিষয়ে নজর থাকবে মতবিনিময়ে সম্মত দলগুলোর। অতীতের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রক্ষমতার ভারসাম্য, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালীকরণসহ মৌলিক কিছু বিষয়ে বিএনপির ‘প্রতিশ্রæতি’ জানতে চাইতে পারেন রাজনৈতিক নেতারা। সেক্ষেত্রে বিএনপির অবস্থান কী হবে তার ওপর নির্ভর করছে পরবর্তী রাজনৈতিক ঐক্য।
তবে স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ প্রশ্নে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রদত্ত ভিশন-২০৩০-তে স্পষ্ট করেই বিএনপির অবস্থান বর্ণিত হয়েছে। দেশে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি আন্তরিক। বাংলা ট্রিবিউনের খবর