শামুক খুঁজতে গিয়ে পা পিছলে নদীতে যুবতীর মৃত্যু

8

রাঙামাটি প্রতিনিধি

দুই প্রতিবেশির সাথে নদীতে শামুক খুঁজতে গিয়েছিলেন রুপশী চাকমা (২৭) নামের এক যুবতী। কিন্তু অসাবধানতাবশত পা পিছলে গিয়ে নদীর গভীরে তলিয়ে যান। অনেক চেষ্টা করেও তার হদিস মিলছিলো না। অবশেষে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে তার মরদেহ। আর এই বিয়োগান্তক দৃশ্য স্বজনদের সাথে প্রতিবেশিদেরও আবেগাপ্লুত করেছে। গতকাল সোমবার বেলা তিনটার দিকে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের পদ্যপাড়া এলাকায় কাচালং নদীতে এ ঘটনা ঘটে। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তবে ওই যুবতীর মৃত্যুর ঘটনাকে ¯্রফে দুর্ঘটনা বলে মানতে রাজি নন স্থানীয় বাসিন্দারা। উদ্ধার কাজে অংশ নেয়া অমর জীবন চাকমা ও আজগর আলী অভিযোগ করেন, নদীতে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীতে বড় বড় খাদের তৈরি হয়েছে। আর এমনি খাদে পরে রুপশী চাকমা তলিয়ে গেছে। নিহত যুবতীর পিতা রাজা কুমার চাকমা বলেন, দুই প্রতিবেশির সাথে রুপসী চাকমা কাচালং নদীর পাড়ে শামুক খুঁজে ফেরার পথে পা পিছলে নদীতে পড়ে তলিয়ে যায়। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয় যুবকরা এগিয়ে এসে জাল ও নৌকার সাহায্যে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
বাঘাইছড়ি থানার এসআই মো. ইমাম বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছি। তবে রুপশী চাকমার বাবার লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে মানবিক বিবেচনায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার কাছে মরদেহ হস্তান্তর করি।