শরতের আগমন

104

শরতে আগমনে প্রকৃতি যেনো শ্বেত বসনে সেজেছে। যেদিকে থাকাই গ্রামের চারিদিকে সাদাসাদা কাঁশফুল। সন্ধ্যার শিরশিরে বাতাসে যেনো শিউলি ফুলের সুভাষ ছড়াচ্ছে। প্রকৃতির এমন নিয়মবদ্ধ আয়োজন পৃথিবীর আর কোনো দেশে দেখা মেলেনা বলেই আমাদের দেশটি অন্যান্য দেশের চেয়ে অতূলনীয়। এদেশে ছয়টি ঋতু সারাবছরই ঘুরেফির আসে আর প্রকৃতিকে সাজায় তাদের গতানুগতিক নিয়মে। শরত হচ্ছে ঋতুচক্রের তিন নম্বর ঋতু, এর আগে গ্রীষ্ম আসে রৌদ্র্যের খরতাপ নিয়ে তারপর আসে বর্ষা প্রকৃতিকে ধুয়ে মুছে দিতে তারপরপরই আসে শরতকাল প্রকৃতিকে এক অভিনব সাজে সজ্জিত করে দিতে। প্রকৃতপক্ষে বাংলা মাসের ভাদ্র এবং আশ্বিন মাস নিয়ে শরত ঋতু তার ঋতুকালকে বিস্তৃত করে আছে। এটি গ্রীষ্ম শীতের মধ্যবর্তি ঋতু। এই ঋতুতে শীত যে আসছে তা জানান দেয়।
প্রকৃতিতে সব গাছের পাতা ঝড়ে যায়। শরতে প্রকৃতি বদলের সাথেসাথে নিয়ে আসে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এই উৎসবটি একেবারে প্রাচীনকাল থেকে হয়ে আসলেও সেসময়ে এখনকার মত তেমন জাঁকজমক ছিলনা। প্রযুক্তির বদৌলতে এখন আমরা দুর্গা দেবীর মহিযাসূর বদের বিষয়টি ত্রি-ডি সিস্টেমের মাধ্যমে নিজ চোখে দেখতে পারি যা আগে কখনও সম্ভব ছিলনা। এখন বেশিরভাগ দুর্গা প্রতিমাতে থিম ব্যবহার করা হয় এবং এই থিমে আপনারা ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন শরতকালের প্রতিক হিসেবে কাঁশফুল থাকে। কিছুকিছু জায়গায় অবশ্য থিম ব্যবহার করা হয়না সেখানেও শরতের ফুল শিউলির আধিক্য পরিলক্ষিত হয়। সবমিলিয়ে এদেশে শরৎ আসে প্রকৃতিতে খুশির বার্তা নিয়ে।