লোহাগাড়ায় হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি আটক

9

লোহাগাড়া প্রতিনিধি

লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর কলাউজানের লেইঙ্গা পুকুর পাড় এলাকায় জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এলাকার কুখ্যাত ত্রাস ডাকাত বাবুল বাহিনী কর্তৃক ষাটোর্ধ বৃদ্ধা সাজেদা বেগম, তার ছেলে হেলাল উদ্দিন এবং দুই পুত্রবধূ শাহিন আক্তার মনি ও শাহিন আক্তারকে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় জসিম উদ্দিনকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। গত শনিবার রাতে উত্তর কলাউজান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গতকাল রবিবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গ্রেপ্তার জসিম উদ্দিন উপজেলার উত্তর কলাউজানের লেইঙ্গা পুকুর পাড় এলাকার মৃত সৈয়দুর রহমানের ছেলে। সে এলাকার কুখ্যাত ত্রাস ডাকাত বাবুলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী ও মামলার বাদী সাজেদা বেগম (৬৫) জানান, জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জসিম উদ্দিনের ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাবুল বাহিনীর লোকজন আমার ছেলে হেলালের উপর বেশ কয়েকবার হামলা করেছিল। সর্বশেষ গত ২৬ জুলাই সকাল ৯ টার দিকে আমাদের মৌরসী জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে গেলে জসিমের ভাড়াটে সন্ত্রাসী ডাকাত বাবুলসহ তার লোকজন আমার ছেলে হেলালের উপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় হেলালের চিৎকার শুনে আমি ও দুই পুত্রবধূ তাকে উদ্ধার করতে গেলে সন্ত্রাসীরা দুই পুত্রবধূকে শ্লীলতাহানিসহ দেশীয় অস্ত্র-স্বস্ত্র দিয়ে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখমসহ শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় দুই পুত্রবধূর কাছ থেকে এক লক্ষ ৯০ হাজার টাকা মূল্যের দুই ভরি ওজনের স্বর্ণের চুড়ি ও আংটি ছিনিয়ে নেয়। এরপর ডাকাত বাবুল বাহিনীর সন্ত্রাসীরা প্রায় ঘন্টাব্যাপী ত্রাসের রাজত্ব চালিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে আশংকাজনক অবস্থায় আমাদেরকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ৩০ জুলাই রাতে লোহাগাড়া থানায় ডাকাত বাবুল, জসিম উদ্দিন, রফিক, মাইনুদ্দিন, রুজিসহ ৩-৪জন অজ্ঞাতনামীয় সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়।
এ প্রসঙ্গে লোহাগাড়া থানার ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেন, এ ঘটনায় জড়িত জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনার মূলহোতা বাবুল এলাকার একজন কুখ্যাত ত্রাস। সে এলাকায় ডাকাত বাবুল হিসেবে পরিচিত। সে বিদেশ থেকে আসার পরই এলাকায় নানা অঘটনের জন্ম দিচ্ছে। তাকে শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে।