রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রস্তুত ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক

26

ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর তত্ত¡াবধানে কক্সবাজারের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১০ হাজার রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সোমবার (১৮ মে) উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের দিনব্যাপী যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার কক্সবাজারের রামু সেনানিবাস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় স্থানীয় সেনাক্যাম্পগুলোর তত্ত¡াবধানে প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
রোহিঙ্গা নাগরিকদের ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ থেকে সুরক্ষায় দ্রæততার সঙ্গে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো ও উদ্ধার কার্যক্রমে দেশি-বিদেশি সব সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ নিশ্চিত করার বিষয়গুলো নিয়ে মহড়া অনুষ্ঠানে আলোচনা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন, আরআরসি, এনজিও, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার সদস্য ও ক্যাম্পে বসবাসরত প্রশিক্ষিত রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশগ্রহণ করে।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ধীর গতিতে এগোলেও ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ শক্তিশালী হয়ে উঠছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দেশে আসুক বা না আসুক সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দশম পদাতিক ডিভিশন আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ হরেছে।
প্রতিটি ক্যাম্পে সেনা সদস্যদের নেতৃত্বে মাঝি, সাবমাঝি ও স্বেচ্ছাসেবকদের আপদকালীন দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জরুরি প্রয়োজনে উদ্ধার যান ও প্রয়োজনীয় উদ্ধার সামগ্রী। এছাড়া জেলা ও স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি এনজিও এবং আইএনজিও সংস্থাগুলোর সঙ্গে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাঠ পর্যায়ে আপদকালীন সময়ের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আর্মি ক্যাম্পগুলোতে দফায় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিনিময় করা হয়েছে নিজেদের প্রস্তুতির সর্বশেষ অবস্থা।
রামু সেনানিবাসের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সেনাবাহিনীর তত্ত¡াবধানে আপদকালীন সময়ের জন্য আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার যেমন- মুড়ি, চিড়া, গুড় ইত্যাদি প্যাকেটজাত করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রশাসনকে সহযোগিতার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো।
সেনানিবাস কর্তৃক জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নিয়মিত সংবাদ সংগ্রহ ও বিভিন্ন তথ্যের জন্য রামু সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় পাহাড়ের ওপরে, ঢালে ও সমতলে অস্থায়ীভাবে তৈরি ক্যাম্পগুলোতে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিধস বা পাহাড় ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের