রাউজান সরকারি কলেজ দুই শিক্ষকসহ ৩ জনকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ

20

ছাত্রীর সাথে অশালীন আচরণ, পোশাক নিয়ে নানা কটূক্তি, জামাত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাউজান সরকারি কলেজের দুই শিক্ষক ও এক কম্পিউটার অপারেটরসহ ৩ জনকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও মিছিল-প্রতিবাদ সমাবেশে উত্তাল ছিল কলেজপ্রাঙ্গণ। কলেজের শত শত শিক্ষার্থী ও কলেজ ছাত্রলীগ এই কর্মসূচি পালন করে। তাদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে উপজেলা ছাত্রলীগও।
বিরাজমান পরিস্থিতিতে কলেজ অধ্যক্ষের অনুরোধে পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং অবরুদ্ধ তিনজনকে কলেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে সুযোগ করে দেন। অবরুদ্ধ তিনজন হচ্ছেন কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক আতিক উল্লাহ, আইসিটি বিভাগের প্রভাষক হাবিব উল্লাহ, কম্পিউটার অপারেটর মো. এনাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এসব ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রেক্ষাপটে দুই শিক্ষক এবং কম্পিউটার অপারেটরের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী পিবলু, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আরমান সিকদার, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহামুদসহ অনেকে।
কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আরমান সিকদার, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহামুদসহ বেশকিছু সাধারণ শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন ‘কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক আতিক উল্লাহ, আইসিটি বিভাগের প্রভাষক হাবিব উল্লাহ, কম্পিউটার অপারেটর মো. এনাম দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে অশালীন আচরণ, পোষাক নিয়ে নানা কটূক্তি, জামাত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়নসহ নানা অপকর্ম করে আসছে। এ ব্যাপারে বেশকিছু ছাত্রী ও সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী আমাদের লিখিত অভিযোগ করে। এর প্রেক্ষিতে শত শত শিক্ষার্থীর সাথে একাত্ম হয়ে কলেজ ছাত্রলীগ বিভোক্ষ প্রদর্শন করে। এক পর্যায়ে দুই শিক্ষক ও কম্পিউটার অপারেট ক্যাম্পাসে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজের হস্তক্ষেপে অবরুদ্ধরা কলেজ ত্যাগ করার সুযোগ পায়।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘উল্লেখিত তিনজন ছাড়াও আরো ২-১ জন শিক্ষকের ব্যাপারে এ ধরণের নানা অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে, আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ কলেজ ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত করে অবরুদ্ধ তিনজনকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম নাওয়াজ চৌধুরী বলেন ‘শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে দুই শিক্ষক ও এক কম্পিউটার অপারেটর কলেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা যেসব অভিযোগ করেছে সেসব ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে’।