মেয়াদোত্তীর্ণ ৭৩ কন্টেইনার পণ্য ধ্বংস কার্যক্রম শুরু

11

নিজস্ব প্রদিবেদক

চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ৭৩ কন্টেইনার মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস কার্যক্রম শুরু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। প্রথমদিনে ১১ কন্টেইনারের মতো পণ্য ধ্বংস করার কথা জানায় কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার সকাল ১১টার দিকে নগরীর উত্তর হালিশহরের বে-টার্মিনাল সংলগ্ন বেড়িবাঁধ রোডের চৌধুরী পাড়ায় অবস্থিত একটি খোলা জায়গায় পরিবেশসম্মত উপায়ে এই ধ্বংস কার্যক্রম চলছে।
এসব কন্টেইনারে থাকা পণ্যচালান ধ্বংসের জন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, চট্টগ্রাম বন্দর, পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একজন করে প্রতিনিধিকে নিয়ে ৯ সদস্যের কমিটি তদারকি করছে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ কন্টেইনার পণ্য ধ্বংসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারি করা স্থায়ী আদেশ অনুযায়ী গঠিত চট্টগ্রাম বন্দরের মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস বিষয়ক কমিটির ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭৩ কন্টেইনার পণ্য ধ্বংস করা হবে। ১৫ লটের এসব কন্টেইনারে বন্দরের ভেতরে রেফার্ডসহ ড্রাই কন্টেইনার আছে ১৫টি। বিভিন্ন অফডকে ড্রাই পণ্যের কন্টেইনার আছে ৬১টি। এসব কন্টেইনারে ধ্বংসযোগ্য ও পচনশীল আদা, সুপারি, খেজুর, জুস, ক্যারোলা বীজ, মাছের খাদ্য, মাছ ইত্যাদি রয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. মাহফুজ আলম বলেন, আজ (সোমবার) সকাল ১১টার দিকে কন্টেইনারে থাকা পণ্যের ধ্বংস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ কন্টেইনার পণ্য ধ্বংস করা হবে। যেহেতু মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংসের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিজস্ব কোনও জায়গা নেই তাই এ কারণে সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ডাম্পিং স্পেসের পাশের পাঁচ একর জায়গায় এসব পণ্য ধ্বংস করা হচ্ছে। ওই জায়গা খুঁড়ে পচে যাওয়া পণ্য ফেলার সঙ্গে সঙ্গে মাটিচাপা দেয়া হবে। পরিবেশ সম্মতভাবে পণ্য ধ্বংস করার কারণে কোনও দুর্গন্ধ ছড়াবে না।
নিয়ম অনুযায়ী, আমদানিকারকদের ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি নিতে নোটিশ দেয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমদানিকারক পণ্য না নিলে কাস্টমস হাউস সেসব পণ্য নিলাম করে। যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও আমদানিকৃত পণ্য বন্দরে নষ্ট হলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সেগুলো ধ্বংস করে ফেলে।
প্রসঙ্গত, আমদানিকারকরা অনেক সময় বিদেশ থেকে আনা বিভিন্ন পণ্য ডেলিভারি নেন না। এছাড়া শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ব্যবসায়ীরা আমদানির চেষ্টা করলে পরীক্ষা নিরিক্ষা করে প্রমাণ সাপেক্ষ্য পণ্য আটক করা হয়।