মেট্রোরেল স্টেশনে জন্ম হল শিশুর

3

পূর্বদেশ ডেস্ক

ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য উত্তরা থেকে মেট্রো ট্রেনে উঠেছিলেন অন্তঃসত্ত্বা সোনিয়া রানী রায়; পথে আগারগাঁও মেট্রো স্টেশনেই ফুটফুটে এক শিশুর জন্ম দিয়েছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে আগারগাঁও স্টেশনের ফার্স্ট এইড সেন্টারে তার ছেলের জন্ম হয়। তার স্বামী সুকান্ত সাহাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। খবর বিডিনিউজের
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর চালু হওয়া মেট্রোরেলে প্রথমবার সন্তান প্রসবের এ ঘটনা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আগারগাঁও মেট্রো স্টেশনে শিশুর জন্মের পর তাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হয় হাসপাতালে। সন্তান প্রসবের পরপর মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে করে মা ও শিশুকে ধানমন্ডির রেনেসাঁ হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয় বলে জানান মেট্রোরেলের উপ প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান।
তিনি বলেন, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সোনিয়া রানীর ওই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা ছিল। সেজন্য সকালে তিনি মেট্রো রেলে চড়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও স্টেশনে আসেন। ওই সময় তার প্রসব ব্যথা শুরু হয়। বিষয়টি জানতে পেরে ধাত্রীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন স্কাউট সদস্য সোনিযা রানীর সহায়তায় এগিয়ে আসেন এবং তাকে মেট্রোরেলের ফাস্ট এইড সেন্টারে নিয়ে যান। সেখানে ১০ মিনিটের মধ্যে সোনিয়ার সন্তানের জন্ম হয়। রোভার স্কাউটের এই নারী সদস্য ধাত্রীর দায়ত্ব পালন করেন। তার নামও সোনিয়া, পুরো নাম সোনিয়া রানী দাশ।
মাহফুজুর রহমান জানান, রোভার স্কাউটের সেই নারী সদস্যই ধাত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তার নামও সোনিয়া, পুরো নাম সোনিয়া রানী দাশ। মেট্রো ট্রেনের যাত্রী শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক ফেরদৌসী আক্তারও সহযোগিতা করেন। এরপর দ্রæত অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে মা ও তার শিশুকে হাসপাতাল পৌঁছে দেওয়া হয় জানিয়ে উপ পরিচালক বলেন, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মা ও বাচ্চা উভয়েই ভালো আছেন।
মেট্রো রেলের এই কর্মকর্তা বলেন, উপস্থিত লোকজন বাচ্চার নাম মেট্রো রাখার প্রস্তাব করেছিল। তবে বাচ্চার বাবা সুকান্ত সাহা জানিয়েছেন, তাদের বাচ্চার নাম আগেই ঠিক করে রাখা আছে। সন্তান প্রসবের মত একটি ঘটনা ভালোভাবে ব্যবস্থাপনা করতে পেরে দারুণ খুশি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
মাহফুজ বলেন, মেট্রোরেল কর্তপক্ষের পক্ষ থেকে শিশুটির জন্য কোনো উপহার দেওযা হবে কিনা, পরে জানানো হবে।