মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতিতে অর্থবছর শুরু

20

গত অর্থবছরের শেষ মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও এর ঊর্ধ্বগতির মধ্য দিয়ে নতুন অর্থবছর শুরু হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাইয়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ, জুনে ছিল ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। গত মাসে সব খাতে সার্বিকভাবেই মূল্যস্ফীতি আগের মাসের চেয়ে বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তৈরি মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ প্রতিবেদনের এসব তথ্য গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে সাংবাদিকদের তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, জুলাই মাসে দেশের অনেক অংশে বন্যা ও অতি বষ্টির কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। এতে ফসলের ক্ষতির সঙ্গে কৃষি পণ্য পরিবহনে খরচ বেড়েছে। তাছাড়া ঈদ উপলক্ষে সাধারণ মানুষের কেনাকাটা বেড়ে যায়। গত মাসের শেষের দিকে ঈদের কেনাকাটা হয়েছে। এসব কারণে গত মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে বলে আমি মনে করি।
জুলাই মাসে চাল, মাছ, মাংস, ডিম, মসলা, শাক-সবজি, ভোজ্যতেল ও কোমল পানীয়র দাম বেড়েছে বলে বিবিএসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশে বেঁধে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। যেখানে শুরুর মাসেই মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। জুলাইয়ে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছে। খবর বিডিনিউজের
গেল মাসে গ্রামাঞ্চলেও মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। গ্রামীণ এলাকায় সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ হয়েছে। আর খাদ্যবহির্ভূত খাতের মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ০১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ হয়েছে। একইভাবে শহরাঞ্চলেও সাধারণ মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ হয়েছে। এর মধ্যে খাদ্য খাতের মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৫ দশমিক ০১ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ০৩ শতাংশ হয়েছে; খাদ্য বহির্ভূত খাতে পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ হয়েছে।
শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনে এর আগে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকের সিদ্ধান্তও তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী।