মিরসরাইয়ে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা

15

মিরসরাই প্রতিনিধি

মিরসরাইয়ে মাইমুনা মাহি (১৯) নামে কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। গত শনিবার বিকেলে উপজেলার সাহেরখালীর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ভোরের বাজার এলাকার বেলু ড্রাইভার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। মাইমুনা খৈয়াছরা ইউনিয়নের নিজতালুক গ্রামের মেহেরুল্লাহ মুন্সী বাড়ির মৃত নিজাম উদ্দিনের মেয়ে। সে নিজামপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাইমুনার শ্বশুর বাড়ির বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ৪ মাস আগে মাইমুনার সঙ্গে সাহেরখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ভোরেরবাজার এলাকার বেলু ড্রাইভার বাড়ির ইউনুস মিয়ার ছেলে দুবাই প্রবাসী ইকবাল হোসেন রিপনের বিয়ে হয়। নিজামপুর কলেজে পড়াশোনাকালীন মাইমুনার অনেক বন্ধু-বান্ধব তৈরি হয়। বিয়ের পরেও বেশিরভাগ সময় তাদের সাথে কথা বলা এবং যোগাযোগ করতে অভ্যস্ত ছিল। তার পড়াশোনা নিয়েও গত কিছুদিন ধরে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের সাথে মনোমালিন্য চলছিল। এজন্য স্বামী রিপনকে নিয়ে মাইমুনা আলাদা হয়ে যায়। মাইমুনার শ্বশুর তার ভাসুর সুমনের সাথে থাকে।
গত শনিবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রী দুইজনই একসঙ্গে দুপুরের খাবার খান। বিকালে স্বামী রিপন আছরের নামাজ পড়ে ফিরে এসে দেখেন দরজা খোলা। ভেতরে গিয়ে দেখেন গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার স্ত্রী ঘরের বীমের সঙ্গে ঝুলে আছে।
নিহত মাইমুনার বোন রাজিয়া সুলতানা অভিযোগ করেন, শাশুড়ি প্রায় সময় আমার বোনকে বকাঝকা করতেন এবং আঘাত দিয়ে কথা-বার্তা বলতেন। এজন্য সে তার শাশুড়ি থেকে আলাদা হয়ে যায়। শনিবারও মাইমুনাকে বকাঝকা করেছেন। এজন্য সে আত্মহত্যা করেছে।
সাহেরখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য জয়নাল আবেদীন দুলাল বলেন, আছরের নামাজের পর মাইমুনার ভাসুর সুমন ফোন দিয়ে বলে আমার ছোট ভাই রিপনের বউ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করছে তা এখনও জানা যায়নি।
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুজিবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু পোস্টমর্টেম রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সে বিষয়ে সঠিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।