মানুষ ভয় পায় বলে নৌকা প্রতীক রাখেনি আ. লীগ

2

দেশের মানুষ নৌকাকে ‘ভয় পায় বুঝতে পেরেই’ আওয়ামী লীগ এবার উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক রাখেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, যে দেশে ভোট নাই, ভোটে অংশগ্রহণ করার কোনো সুযোগ নাই, যেখানে কোনো প্রতিদ্ব›দ্বী নাই, যেখানে কোনো পার্টিসিপেশন নাই, সেখানে আবার কিসের ভোট?
গতকাল বুধবার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আমীর খসরুর এ মন্তব্য আসে।
তিনি বলেন, এই যে উপজেলা নির্বাচন, এটা দেশের মানুষকে আরেকটা ধাপ্পাবাজির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এটা ভোটের নামে ভাওতাবাজি। ভোট বলে কিছু নাই এই এদেশে। একটা ভোটচুরি প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্ত জাতিকে আজকে তারা (সরকার) জিম্মি করে রেখেছে। খবর বিডিনিউজ’র
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি উপজেলা নির্বাচনও না করার ঘোষণা দিয়েছে। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেওয়া ওই সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। সে প্রসঙ্গ ধরে খসরু বলেন, ৯৫ শতাংশ মানুষ ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে (দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন) ভোটকেন্দ্রে যায়নি। এবার সেই চিন্তা থেকে সরকার ভোটারদের আনতে নতুন কৌশল নিয়েছে। এবার তারা চিন্তা করেছে যে, মানুষ নৌকাকে ভয় পায়, নৌকার কথা শুনলে বোধহয় ভোট কেন্দ্রে যাবে না। সেজন্য নির্বাচনে তারা এবার দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজকে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। আমরা যারা বিরোধী দলে আছি, আমাদের ঐক্য অটুট আছে, বিএনপির ঐক্য অটুট আছে।১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রকাশের দিনকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে জেএসডির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই আলোচনা সভা হয়। সভায় প্রজাতন্ত্র দিবসের দাবি উপস্থাপন করেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদের এদেশে বসবাস করা সম্ভব নয়। এই খুনিদের, এই জুলুমবাজ, দখলদার সরকারকে বিতাড়িত না করতে পারলে এদেশ সাধারণ মানুষদের বসবাস কঠিন হয়ে পড়বে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আজো মানুষের মধ্য বিক্ষোভের যে আগুন জ্বলছে, সেই আগুনকে ঠিকমত গুছিয়ে একটা দাবানল তৈরি না করলে বিক্ষোভে আন্দোলনে রূপান্তরিত করা সম্ভব নয়।
শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহব্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির তানিয়া রব, মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, কে এম জাবির বক্তব্য দেন।