মশার কয়েল আনতে গিয়ে টাকা-মোবাইল ফোন খোয়ালেন জনি

7

পটিয়া প্রতিনিধি

রাতে ঘরে দেখেন মশার উপদ্রব। তাই জনি চক্রবর্তী (২৫) ঘরের কাছেই দোকানে গিয়েছিলেন মশার কয়েল আনতে। কিন্তু মশার কয়েল নয়, ঘরে ফিরেছেন মোবাইল ফোন ও টাকা খুইয়ে। তার পায়ে ছুরিকাঘাত করে টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার রাত ১১ টায় পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ ভ‚র্ষি ইউনিয়নের রাসেল স্মৃতি পাঠাগারস্থ নাথপাড়া মোড়ে। ঘটনার পরপর পটিয়া থানায় সাহায্যের জন্য গেলেও ডিউটি অফিসার আইএমই নম্বরসহ মোবাইল ফোনের প্যাকেট না থাকায় লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেননি। ছিনতাইয়ের শিকার জনি সাতকানিয়া উপজেরার নলুয়া গ্রামের কাসিন্দা দিলীপ চক্রবর্তীর ছেলে। তিনি দক্ষিণ ভূর্ষি নাথপাড়া এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করেন।
ছিনতাইয়ের শিকার জনি চক্রবর্তী জানান, আমি ফুলকলি কারখানায় চাকরি করি। রাতে বাড়ি ফিরে মশার অত্যাচার থেকে বাঁচতে কয়েলের জন্য ঘর থেকে বের হই। এরপরই ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ি। তিনি বলেন, একটি মোটরচালিত রিকশায় করে ৬ জন ছিনতাইকারী রাসেল স্মৃতি পাঠাগারের সামনে দিয়ে এসে আমার গতিরোধ করে। এরপর প্রথমে সবকিছু নিতে চাইলে বাঁধা দেই। ওই সময় একজন ছিনতাকারী পায়ে ছুরিকাঘাত করে। প্রাণ ভয়ে বাধ্য হয়ে সবকিছু দিয়ে দেই। ৬ ছিনতাইকারীর মধ্যে আমি একজনকে চিনতে পেরেছি।
তিনি বলেন, বিষয়টি তাৎক্ষণিক থানায় গিয়ে ডিউটি অফিসারকে জানানো হলেও তিনি মোবাইলে বক্স নিয়ে পরদিন সকালে থানায় যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। তিনি জানান, ওই ছিনতাইকারীদের গতিবিধি শেখ রাসেল স্মৃতি পাঠাগারের সিসিটিভি ফুটেজে থাকতে পারে। ওই ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
থানার ডিউটি অফিসার এএসআই আবু জাফর জানান, রাতে মূলত রাইটার ছিলো না। তাই অভিযোগ নিতে পারিনি। এছাড়া পটিয়া পৌর এলাকার টহল পার্টিকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল এবং তারা ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, পরে কি হয়েছে আমি এ বিষয়ে জানি না।
পটিয়া থানার ওসি প্রিটন সরকার জানান, আমাকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। আমি খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।