বিশ্বের মুক্তিকামী জনতার মুক্তিসনদ ৭ মার্চের ভাষণ

34

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্বের মুক্তিকামী জনতার মুক্তিসনদ। তাই কৃষ্টি সংস্কৃতি রাজনীতিতে এ ভাষণটি পাঠ করলে শোষণের হাত থেকে জাতি নির্বিশেষে মুক্তি পাবে। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঐতিহাসিক ৭ মার্চে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচকের ভাষণে এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, প্রকৃত সত্য হলো ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের স্বাধীনতার নির্দেশনার প্রথম পাঠ। এ ভাষণটি পৃথিবীর ইতিহাসে সাতটি ভাষণের একটি অন্যতম এটি শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে জাতিসংঘে স্বীকৃত হয়েছে। আমাদের মহানবী (স.) যে অসাম্প্রদায়িক সমাজ ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামÐলীর সদস্য অনুপম সেন বলেন, বৈশিষ্ট্যগত ক্ষেত্রে আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি এগুলোকে এগিয়ে নিতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষাকে গণমুখী করতে হবে। আজকের নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর সে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ অনুসরণ করে বাঙালির অধিকার আদায়ে নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত হতে হবে। আমাদের শিক্ষাকে ত্রিমুখী করণের প্রক্রিয়ার বিকল্প হিসেবে সর্বজনীন করতে হবে। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি ইতিহাসের মুক্তিকামী জনতার মাইলফলক। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ ভাষণটি থেকেই মুক্তির বার্তা ধারণ করেছি। সর্বোতভাবে আমি মনে করি এ ভাষণটি অর্থনৈতিক মুক্তির একটি নির্দেশনা। আমি মেয়র হিসেবে নগরবাসীকে যতটুকু পারি সামর্থ্য অনুযায়ী এবং সরকারের সহযোগিতায় গণমানুষের সার্বিক মঙ্গলে সচেষ্ট আছি এবং থাকব। তিনি দলের আদর্শিক নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনার রূপকল্প বাস্তবায়নে নিজেদের আত্মনিয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করেন। সভাপতির ভাষণে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা মহানগর আওয়ামী লীগ দলের দুঃসময়ে ও সংকটে রাজপথে ছিলাম। তাই আমরা রাজপথের কর্মীদের প্রাধান্য দিই। ক্ষমতায় আছি তার মানে এ নই আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি। ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য মানুষের সেবা করা প্রয়োজন। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আলোচনা সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আইন সম্পাদক এড. ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, সদরঘাট থানা সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরী সিইনসি স্পেশাল, বাকলিয়া থানার আহবায়ক শফিকুল ইসলাম। এছাড়া সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এড. সুনীল কুমার সরকার, জহিরুল আলম দোভাষ, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য হাসান মাহমুদ শমসের, মশিউর রহমান চৌধুরী, জহুর আহমেদ, জোবাইরা নার্গিস খান, আবদুল আহাদ, দিদারুল আলম চৌধুরী, মো. আবু তাহের, নির্বাহী সদস্য এম এ জাফর, আবুল মনসুর, নুরুল আলম, বখতিয়ার উদ্দিন খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, মহব্বত আলী খান, আবদুল লতিফ টিপু, বেলাল আহমেদ, থানা আওয়ামী লীগের সুলতান আহমদ চৌধুরী, হারুন অর রশিদ, ছিদ্দিক আলম, সাহাব উদ্দিন আহমেদ, কাজী আলতাফ হোসেন, মো. আনসারুল হক, মো. ইছহাক, শফিউল আলম ছগির, মো. ইলিয়াছ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নূর মোহাম্মদ নুরু, নুরুল আজিম নুরু, আফছার উদ্দিন চৌধুরী, আবদুল হান্নান, ফরিদ আহমদ চৌধুরী, রফিকুল হোসেন বাচ্চু, শামসুল আলম, সেলিম রেজা, সলিমউল্লাহ বাচ্চু, মো. ইকবাল হোসেন, আশফাক আহমেদ, এস এম আলমগীর, এরশাদ মামুন, আশরাফুল আলম, মো. এম এ মুছা, সুলতান মো. নাছির উদ্দীন, দিদারুল আলম মাসুম, ফয়েজউল্লাহ বাহাদুর, মো. ইয়াকুব, মো. জামাল উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, মহিমউদ্দিন মহিম, আবদুর শুক্কুর ফারুকী, মিথুন বড়ুয়া, লুৎফুল হক খুশি প্রমুখ। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে সকালে দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়।
দক্ষিণ জেলা আ.লীগ : চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেছেন, নিরস্ত্র বাঙালিরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে শোষণ অত্যাচারের বিরুদ্ধে তথা স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নির্দেশনা মূলক ৭ মার্চের ভাষণটির মধ্য দিয়ে। বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় জাতিসংঘের ইউনেস্কো এই ভাষণটিকে তালিকাভুক্ত করে বাঙালি ও বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বসমাজে আরো মর্যাদাবান করেছে। ইতিহাসের সঠিক বিচারে বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছেন। দ্বিজাতিতত্তে¡র প্রেত্মাতারা এখনো পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া। বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে সঠিকভাবে ধারণ করতে পারলেই সেই উৎসরিত শক্তি থেকে স্বাধীনতা বিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল শত্রæকে রুখে দেওয়া সম্ভব। তিনি আরো বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের সেই ভাষণের আবেদন আজো ফুরিয়ে যায়নি। মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র, বৈষম্য ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে ৭ মার্চের ভাষণ অফুরন্ত প্রেরণা হয়ে রইবে।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ :
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা সংগঠনের সহ-সভাপতি আবু সাঈদের সভাপতিত্বে ও সদস্য এ কে আজাদের সঞ্চালনায় সংগঠনের আন্দকিল্লাস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. মির্জা কছির উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক আবু জাফর, বন বিষয়ক সম্পাদক এড. মুজিবুল হক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য চেয়ারম্যান নাছির আহমদ, ছিদ্দিক আহমদ বিকম, শাহিদা আক্তার জাহান, দক্ষিণ জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক পার্থ সারথী চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী শারমিন সুমি, মহিলা নেত্রী কৃষ্ণা রানী দাশ, জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাত, দক্ষিণ জেলা কৃষকলীগ সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজুর রহমান মেরু, ইঞ্জি. আবুল কাশেম, চৌধুরী আবুল কালাম, আবুল হোসেন শুভ, স্বপন দত্ত, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা শেখ মো. মহিউদ্দিন ও মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি