নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, তিন শত্রুর বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করছি। সেগুলো হচ্ছে- কোভিড, ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া। নগরীতে ডেঙ্গুতে দুই-একজন মারা গেছেন। ঢাকাতে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে না পারলে ভয়ানক আকার ধারণ করবে। তাই বুধবার থেকে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালিত হবে।
গতকাল চসিকের সম্মেলন কক্ষে মশার ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) গবেষক দলের প্রতিবেদন হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিদিন ৪টি করে মোট ৪১টি ওয়ার্ডে ১০দিন মশার ওষুধ ছিটানোর পর আবার পুনঃকার্যক্রম পরিচালিত হবে। অর্থাৎ প্রতিটি ওয়ার্ডে একমাসে তিনবার ওষুধ ছিটানো হবে। এর বাইরে নিয়মিত কার্যক্রমও চলবে। এভাবে মাসব্যাপী কার্যক্রমে ১০০জন জনবল সম্পৃক্ত থাকবে। একই সাথে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতা মূলক প্রচার কার্যক্রম চলবে।
তিনি জানান, মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য অত্যাধুনিক মেশিন সংগ্রহ করা হয়েছে। এ কার্যক্রমের সাথে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ১ হাজার ৫শ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা ঘরে ঘরে গিয়ে অসচেতন জনগণকে সচেতন করবে। যারা ছাদবাগান করেছেন, সেখানে টবে পানি জমে আছে, পরিষ্কার করছে না; আমাদের ভলান্টিয়ার ওই পানি ফেলে দেবেন। অবশ্য সব জায়গায় উঠা সম্ভব হবে না। তারা বার্তা দেবে- স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশার লার্ভা জন্মে। মাইকিং, লিফলেট, স্বেচ্ছাসেবীর কাজ চলছে। ৪১ ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা খুব সজাগ রয়েছে। তারা স্বউদ্যোগে কাজে নেমেছেন।