বিজিবি-বিএসএফ ‘ভুল বোঝাবুঝি’ আলোচনায় শেষ হবে

55

রাজশাহী সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে গোলাগুলির বিষয়টিকে ভুল ‘বোঝাবুঝি ও অনাকাঙ্খিত ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, দুই বাহিনীর মহাপরিচালকদের মধ্যে আলোচনার মধ্যে দিয়েই এর সুরাহা হবে। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রীর এমন বক্তব্য আসে।
তিনি বলেন, পদ্মায় ভারতীয় জেলেদের ইলিশ ধরা নিয়ে জটিলতার পর যে বিএসএফ সদস্যরা এসেছিল, তারা পতাকা
বৈঠকের অপেক্ষা না করে চলে যাওয়ার সময় ‘উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির’ ওই ঘটনা ঘটে এবং তাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একজন সদস্য নিহত হন।
বিজিবির ভাষ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের ভেতরে চারঘাট থানার শাহরিয়ার খাল এলাকায় ঢুকে তিন ভারতীয় জেলে মাছ ধরছিল। মা ইলিশ সংরক্ষণ কর্মসূচির আওতায় সেখানে একজন মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিজিবির অভিযান চলছিল। ওই সময় এক ভারতীয় জেলে বিজিবির হাতে আটক হলে বিএসএফের চার সদস্য ‘অনুমতি ছাড়াই’ শূন্য রেখা পেরিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিতে আসেন।
তখন বিজিবি পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় জেলেকে হস্তান্তরের কথা বললে বিএসএফ তাকে ‘ছিনিয়ে নেওয়ার’ চেষ্টা করে এবং গোলাগুলির সূত্রপাত হয় বলে বিজিবির ভাষ্য। খবর বিডিনিউজের
বিএসএফের একটি বিবৃতির বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবরে বলা হয়, বিজিবি সদস্যদের গুলিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হেড কনস্টেবল বিজয় ভান সিং নিহত এবং আরও একজন গুলিবিদ্ধ হন। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন এটা একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে একটি চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। হঠাৎ করে এই অ্যাক্সিডেন্টটা- আমরা সবাই মর্মাহত হয়েছি’।
এ ঘটনাকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হিসেবে বর্ণনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে। আমরা মনে করি একটা অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। দু’জনের আলাপের মাধ্যমে একটা সুরাহা হবে। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এটা শেষ হবে বলে আমরা মনে করি’।